Connect with us

আন্তর্জাতিক

আমেরিকাকে মানচিত্র থেকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারি: উ. কোরিয়া

Published

on

8

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফাঁকা হুমকি নয়, সত্যিই মাটির নীচে পরীক্ষামূলক ভাবে হাইড্রোজেন বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে এশিয়ার অন্যতম পরমাণু শক্তিধর দেশ উত্তর কোরিয়া। আর তা এতটাই শক্তিশালী যে গোটা আমেরিকাকে মানচিত্র থেকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারে। জাতিসংঘে এমনটাই দাবি করেছে কোরিয়ার প্রতিনিধিদল। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

গত ৬ জানুয়ারি স্থানীয় সময় সকাল ১০টা নাগাদ কেঁপে ওঠে দেশের উত্তর-পূর্ব উপকূলের পুঙ্গাইরি শহর। সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা পরে সরকারি টিভি চ্যানেলে ঘোষণা করা হয়, হাইড্রোজেন বোমার পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণ সফল হয়েছে। এও জানানো হয়, এটি হাইড্রোজেন বোমা হলেও তা তুলনায় কম শক্তিশালী। বলা যায়, ‘ছোট সংস্করণ’। কিন্তু তাতেও প্রশ্ন ওঠে, আদৌও হাইড্রোজেন বোমা তো! নাকি স্রেফ ফাঁকা হুমকি দিচ্ছে উত্তর কোরিয়া!

কারণও আছে। বিজ্ঞানীদের হিসেবমাফিক পরমাণু বোমার তুলনায় হাজার গুণ শক্তিশালী হাইড্রোজেন বোমা। কিন্তু সে হিসেবটা উত্তর কোরিয়ার ক্ষেত্রে মেলেনি। ঘটনার দিন মৃদু ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৫.১। বিস্ফোরণে উৎপাদন হয়েছিল মাত্র ৬ কিলোটন শক্তি। বিজ্ঞানীদের দাবি, খুব ছোট মাপের হাইড্রোজেন বোমা হলেও অন্তত ১০ কিলোটন শক্তি উৎপাদন হওয়ার কথা। হিরোশিমা-নাগাসাকির পরমাণু বিস্ফোরণে তৈরি হয়েছিল ১৫-২০ কিলোটন শক্তি!

বৃহস্পতিবার জাতিসংঘে জবাবটাই দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশের সংবাদ সংস্থার পাঠানো একটি রিপোর্ট জাতিসংঘে পেশ করেছে প্রতিনিধিদল। তাতে জানানো হয়েছে, ৬ জানুয়ারির ওই পরীক্ষা আদৌও কোন ‘হুমকি’ নয়। কাউকে প্ররোচনা দিতেও এ কাজ করেনি উত্তর কোরিয়া। শুধু বার্তা দিতে চেয়েছে, তারা পরমাণু শক্তিধর দেশ। আমেরিকাকে জবাব দিতে সক্ষম। রিপোর্টে এও লেখা হয়েছে, ‘‘হাইড্রোজেন বোমা ফাটানোর জন্য উত্তেজনায় টগবগ করে ফুটছেন উত্তর কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা…। এক মুহূর্তে গোটা আমেরিকাকে উড়িয়ে দিতে পারেন তাঁরা।’’

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের তরফে জানানো হয়েছে, হাইড্রোজেন বোমার বিষয়টি তারা যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েই বিবেচনা করছে। তাই উত্তর কোরিয়ার উপর কঠিনতর নিষেধাজ্ঞা জারির কথা ভাবা হচ্ছে। খুব শীঘ্রই সে বিষয়ে একটি প্রস্তাব আনা হবে জাতিসংঘে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কূটনীতিক জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়াকে ‘পরমাণুশক্তিবিহীন’ করা নিয়ে একমত নিরাপত্তা পরিষদের ১৫টি সদস্য দেশ।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *