জাহাঙ্গীর আলম, হাতীবান্ধা: এক সময়ের জাপা এরশাদের দুর্গ হিসেবে পরিচিত ছিল লালমনিরহাটের ৫টি উপজেলা। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এ দূর্গ হারাতে বসেছে দলটি। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পর এবারের পৌরসভা নির্বাচনেও ফল বিপর্যয় হয়েছে দলটির। জেলার লালমনিরহাট সদর পৌরসভায় দলটি প্রার্থী দিতে পারেনি আর পাটগ্রাম পৌরসভায় প্রার্থী দিলেও হারিয়েছে জামানত। দলটির জনপ্রিয়তা দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে।ফলে দলীয় নেতা কর্মীরা হতাশ হয়ে দল পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। বিশেষ করে দল ছাড়ার গুঞ্জন উঠছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মাঝে। এবারেই প্রথমবারের মতো পৌরসভা নির্বাচনের পর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করার ঘোষনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। জাতীয় পাটির হাতীবান্ধা উপজেলা সাধারণ সম্পাদক ও সিন্দুর্না ইউনিয়ন চেয়ারম্যান প্রার্থী নূরল আমীনের আওয়ামীলীগে যোগদানের গুঞ্জন জোরে সোরে শোনা যাচ্ছে। এদিকে বর্তমান টংভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা জাতীয়পার্টির সাবেক সহ অর্থ-সম্পাদক মোঃ সেলিম হোসেন তাকে যোগদান করে নেওয়ার জন্য ও ক্ষমতাশীল দলটি নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ প্রসঙ্গে জাপার উপজেলা সাধারণ সম্পাদক নূরল আমিন ও সেলিম হোসেন যোগদানের কথা স্বীকার করেন। এ ধরনের আরো অনেক নেতা কর্মীর আওয়ামীলীগে যোগদানের কথা রয়েছে। এক প্রকার হতাশা থেকে দল ছাড়ছেন এসব নেতা কর্মী বলে জানা গেছে। নির্ভরশীল সূত্রে জানা গেছে, আমিনকে আনুষ্ঠানিক ভাবে যোগদান করে নেওয়ার ১৮ জানুয়ারী ইউনিয়ন কর্মী সভার আহবান করেছেন। ওই বৈঠকে স্থানীয় এমপি ও প্রার্থমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও লালমনিরহাট জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি মোতাহার হোসেনের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। এমপির ব্যক্তিগত সহকারী আবু বক্কর সিদ্দিক স্বাক্ষরিত সফর সূচীর মাধ্যমে সিন্দুর্না আওয়ামীলীগের কর্মী সভার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়। দলের নেতাকর্মীরা দল ছাড়ছেন এ ধরনের প্রশ্নের জবাবে জাপার উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান মিলন জানান, কেউ দল ছাড়লে তো তাকে আটকানো যাবে না, এতে দল কারোও জন্য অপেক্ষা করবে না। কেউ দল ছাড়লে দলের কোন ভাঙ্গনের সৃষ্টি হবে না। তিনি আরোও বলেন, জাতীয়পার্টি আগে থেকে শক্তিশালী ছিল, এখনও শক্তিশালী রয়েছে। আমাদের দলের কিছু লোক যারা বিভিন্ন দলের সাথে লিয়াজু রেখে জাতীয়পার্টি করে আসছে তাদের কাছ থেকে আমরা এখন পরিস্কার হতে পেরেছি এবং দলের শক্তি ধারাবাহিকতায় আরোও বৃদ্ধি হবে বলে তিনি মনে করেন। পরবর্তীতে বর্ধিত সভার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক জাতীয় পার্টির এক নেতা বলেন, বহুদিন থেকে দলের কার্যক্রম স্থগিত থাকা এবং বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে নির্ধারিত কমিটি না থাকায় নেতা কর্মীরা হতাশ হয়ে বিভিন্ন দলে যোগদান করেছে বলে জানান।