আন্তর্জাতিক
ধর্ষণ থেকে বাঁচতে ছাদ থেকে ঝাঁপ দিল তরুণী
পুলিশ সূত্রে খবর, হুগলির রিষড়ার বাসিন্দা ওই তরুণী রবিবার দুপুরে লিলুয়ার কোনা রোডের একটি বাড়িতে আসে। তাঁকে সেখানে নিয়ে আসে নন্টাই বোস নামে কোনা রোডের এক বাসিন্দা। তাঁর সঙ্গে নির্যাতিতা তরুণীর আগে থেকেই পরিচয় ছিল বলে জানা গিয়েছে। অভিযুক্ত নন্টাই ওই তরুণীকে বন্ধু ভোলা নায়েকের বাড়িতে নিয়ে আসে। কিছু ক্ষণ পর সেখানে আসে ছোটন দত্ত নামে আরও এক যুবক।
পুলিশের কাছে ওই তরুণী অভিযোগ করেছেন, সারা দুপুর তিন যুবকই ওখানে বসে মদ্যপান করে। রবিবার বিকেলে ওই তরুণী বাড়ি যেতে চাইলে অভিযুক্ত যুবকেরা তাঁকে পানীয় খেতে দেয়। তাতে ঘুমের ওযুধ মেশানো ছিল বলে অভিযোগ। ওষুধ মেশানো পানীয় খেয়ে তরুণী বেহুঁশের মতো হয়ে যায়। তবে পুরোপুরি সংজ্ঞা হারাননি তিনি। তখন ভোলা বলে এক অভিযু্ক্ত তাঁকে কুপ্রস্তাব দেয় বলে অভিযোগ। তাঁর গলায় ছুরি ধরে ছোটন দত্ত। ছোটন বলে তাঁদের প্রস্তাবে রাজি না হলে নন্টাইকে মেরে ফেলা হবে। কিন্তু পুরো ঘটনাটাই সাজানো বলে মনে হয় ওই তরুণীর। নিজেকে বাঁচাতে চেঁচামেচি শুরু করেন ওই তরুণী। তাঁর চিত্কারে বেরিয়ে আসেন বাড়ির নীচে ভাড়া থাকা কয়েক জন মহিলা। তাঁদেরকে ওই তরুণী বলে তিন যুবক তাঁকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করছে। সে কথা শুনে ওই মহিলারা পাড়ার অন্য লোকেদের ডাকতে যান। সেই সুযোগে ওই তরুণীকে নন্টাই মেরে ফেলার হুমকি দেয়। বাঁচার জন্য এর পর ছাদ থেকে ঝাঁপ দেন ওই তরুণী। নীচে মাটি থাকায় প্রাণে বেঁচে গেলেও চোট লাগে ওই তরুণীর। তাঁকে স্থানীয় কোনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই তিন যুবককে পাড়ার লোকেরাই ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। কোনা হাসপাতালের চিকিত্সকেরা জানিয়েছেন ওই তরুণীর কোমরে এবং বুকে চোট লেগেছে। আনন্দবাজার পত্রিকা।