Connect with us

জাতীয়

বাঁশখালির পরিস্থিতি শান্ত, ঘটনার তদন্তে কমিটি গঠন

Published

on

বাঁশখালীনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম: সংঘাতে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে চট্টগ্রামের বাঁশখালি। ঐ এলাকায় বেসরকারি খাতে কয়লা ভিত্তিক একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণকে কেন্দ্র করে সোমবারই এক সংঘর্ষে সেখানে চার জন মারা গেছে। চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান এই খবর নিশ্চিত করেছেন। জানা গেছে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন নিয়ে জনমত বিভক্ত হয়ে গেছে। কদিন ধরে উত্তেজনা চলবার পরই সোমবার তা সহিংস সংঘর্ষে রুপ নেয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছে পুলিশও এই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
ঐ ঘটনার পর রাতভর ঐ এলাকায় থমেথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পুলিশ তিনটি লাশ উদ্ধার করে বাঁশখালি থানাতে নিয়ে আস। আর একটি লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ মর্গে রয়েছে। রাতভর গন্ডামারা ইউনিয়ন এলাকায় গ্রেফতার আতঙ্কে পুরুষ শুন্য ছিল। সেখানকার পুলিশ জানিয়েছে বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে।
মানুষের ভেতরে কোন উত্তেজনা বিরাজ করছে কিনা এ প্রসঙ্গে মিন্টু চৌধুরী বলেন, একটি পক্ষ কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিরোধিতা করে আসছিল। তাদের দাবি ছিল ভূমি অধিগ্রহণ নিয়ে এস আলম গ্রুপ এবং স্থানীয় লোকজনের মধ্যে বিরোধ ছিল। সেই প্রেক্ষিতে গত রোববার রাতে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র বিরোধীদের ৫ জনকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় পুলিশ। তার প্রতিবাদেই সোমবার বিকালে প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দিয়েছিল বসত-ভিটা রক্ষা কমিটির ব্যানারে। সেখানে পাল্টা আরেকটি পক্ষ যারা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের পক্ষে তারাও সেখানে সমাবেশের ডাক দেয়। এমতাবস্থায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারা জারি করে এবং সভা- সমাবেশের ওপর নিশেধাজ্ঞা দেয়। তারপরেও বসত-ভিটা রক্ষা কমিটির ব্যানারে তারা সমাবেশ করতে গেলে সেখানে পুলিশ বাঁধা দেয় এবং তারাও পুলিশকে বাঁধা দেয়। এক পর্যায়ে দুইপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এরকম বিভিন্ন স্থাপনা নিয়ে মানুষের মধ্যে অসোন্তষ থাকে কিন্তু কোন পরিস্থিতে প্রাণহানির মত ঘটনা ঘটল এর উত্তরে মিন্টু চৌধুরী বলেন, সেখানে বিদ্যুৎ নির্মাণের একদম প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। সেখান স্থানীয় লোকজনের ধারণা বিদ্যুৎ কেন্দ্র হলে সেখানে লবণ চাষ, চিংড়ি চাষসহ সাধারণ চাষীদের ক্ষতি হবে। সেই চিন্তা থেকেই তারা মনে করছে বিদ্যুৎ কেন্দ্র না হলেই ভাল। কিন্তু অপর একটি পক্ষ রয়েছে তারা মনে করে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে এবং দেশের উন্নয়ন হবে। এই কারণে সেখানে দুটি পক্ষ দাঁড়িয়ে গেছে এবং এক ধরনের অসন্তোষ তৈরি হয়েছে।
হতাহতের সংখ্যা বাড়ার বিষয়ে মিন্টু চৌধুরী বলেন, পুলিশ রাত দুইটার দিকে বলেছে তাদের হাতে তিনটি লাশ রয়েছে। পুলিশসহ ১৯ জন আহত হয়েছে যাদের মধ্যে ১১ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। গ্রামের মধ্যে আর কোন লাশ নেই বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এদিকে এই ঘটনার তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী সাতদিনের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *