কুড়িগ্রাম
দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে ফুলবাড়ীর দ্বিতীয় ধরলা সেতুর কাজ
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীবাসীর প্রাণের দাবী ধরলা নদীর উপর ৯৫০ মিটার দীর্ঘ পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ কাজের জন্য বর্তমান সরকার বরাদ্দ করেছে প্রায় ১৯২ কোটি টাকা। কাজটি পায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নাভানা। ইতোমধ্যে সর্বমোট ২৪০টি পাইলের মধ্যে ২১২টির কাজ সম্পন্ন করেছে। অ্যাবাটমেন্ট ও পিয়ারের পাইল ক্যাপ মোট ২০ টির মধ্যে ৮টির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ৬টি বেজে পিয়ার কলামের কাজ সমাপ্ত হয়েছে। সেতুটির লালমনিরহাট প্রান্তের অ্যাবাটমেন্ট ওয়ালের প্রায় দুই- তৃতীয়াংশ কাজ শেষ হয়েছে। এছাড়া নদী শাসন কার্য্যক্রমের অংশ হিসেবে আর সিসি বøক তৈরী চলছে। সেতুর দুই প্রান্তের সংযোগ সড়কের মাটির কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
সেতুটি চালু হলে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী, নাগেশ্বরী, ভুরুঙ্গামারী ও লালমনিরহাট সদর উপজেলার প্রায় দশ লক্ষ্য মানুষ উপকৃত হবেন বলে জানিয়েছেন ধরলা পাড়ের শিমুলবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শরীফুল আলম সোহেল, হায়দার মেম্বার, মন্টু মেম্বার, হরিকান্তসহ অনেকেই। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট উপসহকারী প্রকৌশলী মোঃ জাকিরুল ইসলাম ও মোঃ আনারুল ইসলাম জানান, সেতুটি নির্মান শেষে চালু হলে ভুরুঙ্গামারীর বঙ্গসোনাহাট স্থলবন্দর হতে ঢাকার দুরত্ব কমে আসবে প্রায় ২০ কিঃ মিঃ। এটি ফুলবাড়ীর উন্নয়নে মাইল ফলক।
প্রাপ্ত সুত্রে জানা যায়, বঙ্গসোনাহাট স্থলবন্দর হয়ে ফুলবাড়ীর দ্বিতীয় ধরলা সেতু দিয়ে ভারতের আসাম রাজ্যসহ অন্যান্য পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য গুলির সাথে বাংলাদেশ ও ভারতের পন্য পরিবহন ব্যয় কমে আসবে। এখানকার উৎপাদিত ফসলের ন্যয্য মূল্য নিশ্চিত হবে। অন্যদিকে সেভেন সিস্টারস নামে খ্যাত ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের ৭ টি রাজ্য আসাম, মেঘালয়, মিজোরাম, মনিপুর, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরা ও অরুনাচল রাজ্যের সাথে বাংলাদেশের লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংরাবান্ধা হয়ে কোলকাতার যোগাযোগের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী অগ্রগতি সাধিত হবে।