আন্তর্জাতিক
রিয়াদে ওবামা-সালমান বৈঠক
প্রেসিডেন্ট ওবামা বাদশা সালমানের কাছে সৌদি আরবের মানবাধিকার ইস্যু নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, দুই নেতা তাদের ঐতিহাসিক বন্ধুত্ব এবং গভীর কৌশলগত অংশীদারিত্বের বিষয়ে সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন। বৃহস্পতিবার অন্যান্য উপসাগরীয় দেশগুলোর আরব নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাতের আগে ওবামার সৌদি বাদশাহ সালমানের সঙ্গে এই বৈঠক করেন।
এর আগে বুধবার ওবামা দুইদিনের সফরে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ পৌঁছান। সৌদি আরবে এটি ওবামার চতুর্থ এবং প্রেসিডেন্ট হিসেবে সম্ভবত শেষ সফর। প্রেসিডেন্ট হিসাবে ওবামা তার এ শেষ সফরে সৌদি আরব সহ অন্যান্য উপসাগরীয় দেশগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ওয়াশিংটনের প্রতিশ্রুতির আশ্বাস পুনর্ব্যক্ত করাসহ ওই অঞ্চলে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা কমানোর উপায় খুঁজবেন বলে আশা করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার ওবামা উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদ (জিসিসি) ভুক্ত দেশগুলোর সম্মেলনে যোগ দেবেন। এ সম্মেলনে ইরান গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে পরিণত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইরানের সঙ্গে আঞ্চলিক উত্তেজনার বিষয়টি আলোচনায় প্রাধান্য পাবে।
জিসিসি অন্তর্ভুক্ত দেশগুলো হল: সৌদি আরব, কুয়েত, কাতার, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান। একমাত্র ওমান ছাড়া বাকি দেশগুলোর ক্ষমতায় সুন্নি সরকার। জিসিসি’র অভিযোগ, সংঘর্ষের উস্কানি দিয়ে এবং সাম্প্রদায়িক বিভাজনের মাধ্যমে ইরানের শিয়া সরকার ওই অঞ্চলের জন্য হুমকি হয়ে উঠছে। উদাহরণ হিসেবে ইরাক, সিরিয়া, লেবানন ও ইয়েমেনে ইরানের হস্তক্ষেপের প্রসঙ্গ টানে সংগঠনটি। যুক্তরাষ্ট্র চাইছে ইরান ও উপসাগরীয় আরব দেশগুলোর মধ্যে উত্তেজনা প্রশমিত হোক এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে সংঘাতময় পরিস্থিতির অবসান হোক। বিবিসি।