ঢাকা বিভাগ
মধুখালীতে আওয়ামী লীগ বিএনপি সংঘর্ষে নিহত-১ আহত-৬
প্রত্যক্ষদর্শীরা ও পুলিশ জানান, নির্বাচনী প্রচার কালে বিএনপির প্রার্থী আব্দুর রহিম ফকিরের ছোট ভাই ইউনুস ফকিরের নেতৃত্বে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মুরাদ হোসেনের সমর্থকেরা এক হয়ে যৌথভাবে আওয়ামীগ সর্মথকদের উপর অতর্কিত চড়াও হয়। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে অতিয়ার রহমান (৫৫) সহ ৫/৬ জন গুরুত্বর আহত হয়। আহতদেরকে দ্রুত মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত ডাক্তার নিমাই দাস আতিয়ার রহমানকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকি আহতদের মধ্যে মিঠুন দে (২২), বাবলু শেখ (৩২), রেজাউল করিম খান বাকা (৫০), শাহাদত হোসেন লাল (৫০) ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করেন। নাজমুল (২৯) সোহেল (২৭) এবং ইমন (১৯)মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়েছে। আহতরা সবাই আওয়ামী লীগের প্রার্থী মতিয়ার রহমানের সমর্থক বলে জানাগেছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামানসহ র্যাব, বিজিবি‘র কর্মকতারা উপস্থিত ছিলেন। এ ঘটনায় বিএনপির প্রার্থী আব্দুর রহিম ফকিরকে গভীর রাতে পুলিশ গ্রেফতার করেছেন।
মধুখালী থানা ইন-চার্জ মো. রুহুল আমিন জানান, এ ঘটনায় ঘটনাস্থলে ফরিদপুরের পুলিশ লাইনের ১প্লাটুন দাঙ্গা পুলিশগ মোতায়েন রয়েছে। হত্যাকান্ডের ব্যাপারে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
গতকাল রাতেই আওয়ামী লীগের সমথৃকেরা ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করার চেষ্টা করেন পুলিশী বাধায় তা সম্ভব হয়নি। এ দিকে রা আনুমানিক ১২টার দিকে উত্তেজিত জনতা বাসুদেব দাসের মালিকানা একটি ঘড়ে ভাড়াটিয়ার বিএনপির একজন সমর্থক সাইদ সেখের দোকান ঘর ও বিএনপির ধানের শিষের অফিস ঘরটি পুরিয়ে দেয়। এতে ঘরে থাকা ৪টি মটর সাইকেল, পাট, ধান ও অন্যান্য মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তবে এ ব্যাপারে আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে ওই ঘরটি বিদুতের সর্ট সার্কিটে আগ্নি কান্ডের ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর পরই ঘটনাস্থলে পুলিশ, র্যাব এবং বিজিবির সদস্যরা বিভিন্ন ঘটনা নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসেন। সারা রাত সংঘর্ষের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনি সতর্ক অবস্থায় ছিলেন। বর্তমানে এলাকা শান্ত থাকলেও এলাকার মানুষের মাঝে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য আজ রবিবার ফরিদপুর মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। পুলিশ ও পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয় নিহত আতিয়ারের লাশ ময়না তদন্ত শেষে আজ রবিবার বাগাটে বাদ আছর জানাযা অনুষ্ঠিত হবে এবং পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হবে।