দেশজুড়ে
আ.লীগ নেতা টুকুর মৃত্যু রহস্য: বন্ধু নয়নের গুলিতে মারা গেছেন টুকু
আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, প্রথমে শুনেছি তার লাইসেন্স করা অস্ত্র পরিষ্কার করতে গিয়েই তার মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু সন্ধ্যার পর টুকুর বন্ধু নয়ন হাসপাতাল ছেড়ে তার গাড়ী নিয়ে চলে যায়। যাওয়ার পরে তিনি ফোন করে তাকে (আসাদকে) বলেন, ‘টুকুর গুলিতে তিনি নিহত হননি। নয়নের হাতে থাকা টুকুর পিস্তল থেকে গুলি বের হয়ে তিনি মারা গেছেন। এখন যা বলার তিনি আদালতে গিয়েই বলবেন তিনি আসাদকে জানান। এর পরে নয়নের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে পুলিশকে বিষয়টি জানানোর পর নয়নকে ধরতে এরই মধ্যে পুলিশ পিছু নিয়েছে বলেও দাবি করেন আসাদ।
তিনি আরো জানান, নয়নের বাড়ি ঢাকার মতিঝিলে বলেও নয়ন জানিয়েছে। নিহত টুকু একজন প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার ছিলেন। তার বাসা রাজশাহী নগরীর ষষ্ঠীতলায় এলাকায়।
টুকুর চেম্বারের আশপাশের দোকানের কয়েকজন কর্মচারী জানান, রোববার বিকেলে ‘সিটি চেম্বার’ নামের নিজ চেম্বারে ছিলেন জিয়াউল হক টুকু। এ সময় তার চেম্বারে ছিলেন আরো তিন থেকে চারজন ব্যবসায়ী। রোববার বিকেলে সাড়ে ৪টার দিকে চেম্বারের ভেতর থেকে হঠাৎ একটি গুলির শব্দ পাওয়া যায়। এরপর চেম্বারের ভেতরে থাকায় ব্যক্তিরা টুকুকে রক্তাক্ত অবস্থায় বের করে একটি মাইক্রোবাসে করে রাজশাহী মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই টুকুর মৃত্যু হয়।
সন্ধ্যার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, সিআইডি ও পিবিআই এর কর্মকর্তারা আলামত সংগ্রহ করছেন। পিবিআই এর একজন কর্মকর্তা জানান, ঘটনাস্থলে একটি পিস্তল পাওয়া গেছে। পিস্তলের ম্যাগাজিনে পাঁচটি গুলি রয়েছে। যে গুলিতে টুকু নিহত হয়েছে সে গুলিও সেখানে পড়ে আছে, ওই গুলির পাশে আছে গুলির খোসা।
বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদত হোসেন বলেন, ‘টুকুর নামে লাইসেন্স করা পিস্তল রয়েছে। সেটি সার্বক্ষণিক তার কাছেই থাকতো। তঘটনাস্থলে গিয়েও দেখা গেছে, তার বুকের ডান পাশ দিয়ে একটি গুলি বিদ্ধ হয়ে পিঠ দিয়ে বেরিয়ে গেছে। এময় তার ব্যবহৃত পিস্তলটিও তার লাশের পাশেই পড়ে ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, তার ব্যবহৃত পিস্তল পরিষ্কার করতে গিয়েই নিজের গুলিতে নিহত হয়ে থাকতে পারেন। আবার শোনা যাচ্ছে নয়ন নামে তার এক বন্ধুর হাত থেকে গুলি বেরিয়ে তার শরীরে বিদ্ধ হয়ে তিনি মারা যান তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে এব্যাপারে আরো স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে বলে জানান তিনি।