ঠাকুরগাঁও
পীরগঞ্জে আ.লীগ-জাপা সমর্থকদের সংঘর্ষ,বাড়ি-ঘর ভাঙচুর; আহত অর্ধশতাধিক
এদের মধ্যে আশংকাজনক অবস্থায় কামরুজ্জামান, লুৎফর রহমান, রুবী আক্তার ও রিপু বেগমকে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। হামলার খবর শুনে ইউপি চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীনের লোকজন নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমানকে সিংগারোল গ্রামে একটি বাড়িতে প্রায় দুই ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তিনি ছাড়া পান। সংঘর্ষ চলাকালে আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী জয়নাল আবেদীনের বাড়ি সহ আশেপাশের বেশ কয়েকটি বাড়িতে ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। বিক্ষুব্ধরা বাড়ির লোকজনদের এলোপাথারি মারপিট করে এবং ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। ইউপি চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন জানান, হামলা কারীরা তার বাড়িতে একযোগে হামলা চালিয়ে বাড়ির লোকজনদের মারপিট করে। ঘরের আসবাবপত্র টেবিল চেয়ার ও বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুর করে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে। এছাড়া হামলাকারীরা পীরগঞ্জ পৌর শহরে তার জেডি ফিলিং ষ্টেশনেও হামলা চালিয়ে ভাংচুরের চেষ্টা চালায় বলে তিনি অভিযোগ করেন। অপরদিকে নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, তার শান্তিপূর্ণ মিছিলে প্রতিপক্ষরা হামলা চালিয়ে তাদের লোকজনদের মারপিট করে গুরুত্বর জখম করে। সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশসহ পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার ও পীরগঞ্জ থানার ওসি কেএম শওকত হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে দু’পক্ষের উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গকরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
এ ব্যাপারে পীরগঞ্জ থানার ওসি কেএম শওকত হোসেন জানান, প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই বিজয় মিছিল করা যাবে না যেনেও নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান বিজয় মিছিল করেছেন। পরবর্তী অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি এড়াতে ঐ এলাকায় বর্তমানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার জানান, পরিস্থিতি বর্তমানে প্রশাসনের নিয়ন্ত্রনে।