জাতীয়
হিন্দু দর্জি হত্যার ঘটনায় মাদ্রাসাশিক্ষকসহ আটক ৩
বিডিপি প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলের গোপালপুরে হিন্দু দর্জি নিখিল চন্দ্র জোয়ারদারকে হত্যার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে একজন হলেন মাদ্রাসা শিক্ষক এবং দৈনিক ইনকিলাবের গোপালপুর সংবাদদাতা মাওলানা আমিনুল ইসলাম মারুফী।
নিহত জোয়ারদারের বিরুদ্ধে ইসলাম ধর্মবিরোধী কথা বলার অভিযোগে ২০১২ সালে যে মামলা হয়েছিল তার বাদী ছিলেন মাওলানা মারুফী। গোপালপুর সার্কেলের এএসপি আসলাম খান এ তথ্য জানিয়েছেন। আটক হওয়া অপর দুজন হলেন একজন জামায়াতে ইসলামীর গোপালপুর উপজেলার সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম। আরেকজন বিএনপি কর্মী ঝন্টু মিয়া।
অবশ্য গতকালই সন্ধ্যের দিকে মিস্টার মারুফীকে আটকের কথা জানিয়েছিল তার পরিবার। কিন্তু গোপালপুরের পুলিশ তখন সেটি অস্বীকার করেছিল।
পুলিশ জানায়, ইসলামের নবীকে নিয়ে ‘কটূক্তি’ করায় হিন্দু দর্জি নিখিল চন্দ্র জোয়ারদারের বিরুদ্ধে মামলাটি হয়েছিল। তবে তিনি আসলে কি বলেছেন তা পরিষ্কারভাবে বলতে পারেনি পুলিশ। মামলায় নিখিল চন্দ্র কিছুদিন কারাভোগ করার পর বাদী মিস্টার মারুফীই মামলাটি তুলে নিয়েছিলেন বলে পুলিশ জানায়।
এদিকে জোয়ারদার এমন কিছু বলেননি বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী আরতি জোয়ারদার এবং কন্যা লিপি চন্দ্র। মিসেস জোয়ারদার বাড়ি হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দুটো মামলা করেছেন।জোয়ার্দারকে হত্যার পর ঘটনাস্থলে একটি ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখা যায়। তার ভেতর পটকার মত কিছু একটা রয়েছে বলে পুলিশ জানাচ্ছে।
‘নিখিল খলিফা’ হিসেবে স্থানীয়ভাবে পরিচিত জোয়ারদারকে গতকাল শনিবার গোপালপুরে তার দর্জির দোকানের সামনেই কুপিয়ে হত্যা করা হয়। হামলাকারীরা মোটরসাইকেলে করে এস দ্রুত তাকে কুপিয়ে পালিয়ে যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
সাম্প্রতিকসময়ে একই কায়দায় সারা দেশে আরও বেশ কয়েকটি হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। ফলে এর সাথে জঙ্গি গোষ্ঠী জড়িত থাকতে পারে বলে স্থানীয় লোকজন মনে করছে। এদিকে এ হত্যার দায় ইসলামিক স্টেট স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে জঙ্গি তৎপরতা মনিটরিং বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ‘সাইট ইন্টেলিজেন্স’।