জাতীয়
রোয়ানু প্রস্তুতি: সরিয়ে নেয়া হচ্ছে ২১ লাখ মানুষ
ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর ক্ষতি মোকাবেলায় উপকূলীয় এলাকার মানুষজনকে সরে যেতে বলেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর। শুক্রবার রাত ৮টার মধ্যে তাদের সরে যাওয়ার নিদের্শ দেয়া হয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শাহ কামাল জানান, এরই মধ্যে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। শুক্রবার বিকালে অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘রাত ৮টার মধ্যে তাদের সরিয়ে নিতে সারাদেশে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে ১৮ জেলার সাড়ে ২১ লাখ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘সারাদেশে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খুলে তারা সেটা তদারকি করছেন। শুক্রবার দুপুর থেকেই মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া শুরু হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে এমন ১৮টি জেলার ৩৮৫১টি আশ্রয়কেন্দ্রে এসব মানুষকে আনা হবে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে থাকা, খাওয়া ও চিকিৎসার সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের লোকবলের কথা জানিয়ে সচিব বলেন, ‘উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের ঘুর্ণিঝড় প্রস্তুতি কমিটির (সিপিপি) স্বেচ্ছাসেবক রয়েছে ৫৫ হাজার। এছাড়া রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, রোভার স্কাউট ও আনসার ভিডিপিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিশাল কর্মীবাহিনী রয়েছে। এক্ষেত্রে তারা সবাই একযোগে কাজ করছে।’
এবার ১ নম্বর সতর্ক সংকেতের সূচনা থেকে প্রস্তুতি নেওয়ার কারণে ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে আশা করছেন শাহ কামাল।
৮টার মধ্যে ঝুঁকিপ্রবণ এলাকার মানুষজনকে সরে যাওয়ার নির্দেশনা
ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে ১৮ জেলার সাড়ে ২১ লাখ মানুষ
১৮টি জেলার ৩৮৫১টি আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হবে মানুষজনকে
ঘুর্ণিঝড় প্রস্তুতি কমিটির (সিপিপি) স্বেচ্ছাসেবক রয়েছে ৫৫ হাজার
মাঠে থাকবেন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, রোভার স্কাউট ও আনসার ভিডিপি সদস্যরাও
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ বলেন, চট্টগ্রাম ও তার আশপাশের জেলার উপকূলে সাত নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে। মাঝারি ধরনের ঝড় হওয়ায় আমাদের আশা সতর্ক সংকেত ৭-ই থাকবে। তবে মংলা ও পায়রাবন্দর এলাকায় সতর্ক সংকেত ৫ থেকে ৭ হতে পারে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমাদের আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশ্লেষণ অনুযায়ী ঘুর্ণিঝড় শনিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা নাগাদ বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে। বিডিপি/আমিরুল