Connect with us

ঢাকা বিভাগ

ডাঃ সাজ্জাদ হোসেনের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

Avatar photo

Published

on

আবু নাসের হুসাইন, সালথা প্রতিনিধি:

The SWIFT logo is pictured in this photo illustration taken April 26, 2016. REUTERS/Carlo Allegri/Illustration/File Photo

ফরিদপুর জেলার সালথা উপজেলায় অতিরিক্ত দায়িত্বে প্রাপ্ত পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও মেডিকেল অফিসার (এমসিএইচ-এফপি) ডাঃ মোঃ সাজ্জাদ হোসেনের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তিনি ভাঙ্গা উপজেলার মেডিকেল অফিসার (এমসিএইচ-এফপি) পদে দায়িত্ব পালন করছেন।

বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, ডাঃ সাজ্জাদ হোসেন সালথা উপজেলায় ২০১৩ইং সালের ২২ আগষ্ট’ হতে মেডিকেল অফিসার (এমসিএইচ-এফপি) এবং ২০১৪ ইং সালের ১৫ ডিসেম্বর’ হতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার অতিরিক্ত দায়িত্বে আছেন। দায়িত্ব পাওয়ার পর হতে তার বিরুদ্ধে ব্যাপক দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। প্রতি সপ্তাহে ২ দিন অফিস করার কথা থাকলেও তিনি মাসের প্রথম বৃহস্পতিবার কর্মচারিদের নিয়ে মাসিক সভা শেষ করে চলে যান। মাসের বাকী দিনগুলোর অফিসের কাজের জন্য তার বাণিজ্যিক প্রাকটিসের চেম্বার (দি ল্যাব এইড ডায়াগনিষ্টিক সেন্টার, গোয়ালচামট, ফরিদপুর) পিয়নের মাধ্যমে কাজগুলো করানো হয়। কোন কোন দিন তার বাসায় গিয়েও ফাইল স্বাক্ষর করানো হয়। প্রতি মাসের উপজেলার মাসিক সমন্বয় সভায় উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তিনি অদ্যবধি কোন সমন্বয় সভায় উপস্থিত থাকেন নি। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিশ্বাস রাসেল হোসেন তাকে কার্যবিবরণীর মাধ্যমে অনুপস্থিতির ব্যাখ্যা চেয়ে ছিলেন। তারপরও তিনি সভায় উপস্থিত থাকেন নি। এতে উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসন, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগকে নিয়ে পড়েছেন বিপাকে।

গত ১৪ থেকে ১৯ মে’ পরিবার পরিকল্পনা সেবা সপ্তাহ উদ্যাপন উপলক্ষে এ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, উপজেলা পরিষদের সকল দপ্তরের অফিসার, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ বিভাগীয় সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত থাকার কথা ছিল। কিন্তু তিনি কাউকে দাওয়াত না দিয়ে তার ইচ্ছা মত সভা পরিচালনা করেছেন। এমনকি তার দপ্তরের সহকারী পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকেও তিনি বিষয়টি অবহিত করেননি। তার নিজ কর্মস্থল ভাঙ্গা উপজেলায় তার কর্মস্থলে সব সময় অবস্থান করার কথা থাকলেও তিনি বেশির ভাগ থাকেন, ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলীর ওয়াসিত্ব টাওয়ার-৩ এর ৫ম তলার ফ্লাটে। প্রতি মাসে তার ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র পরিদর্শন, স্যাটেলাইট ক্লিনিক পরিদর্শন, কমিউনিটি ক্লিনিক পরিদর্শন, মাঠ পরিদর্শনসহ ৮-১০টি পরিদর্শন করার কথা থাকলেও তিনি অদ্যবধি কোন পরিদর্শন করেন নি। প্রতি মাসে ২০ দম্পতির উপাত্ত যাচাই করার কথা থাকলেও তিনি কোন উপাত্ত যাচাই করেন না। অফিসে কোন খাতে বরাদ্দ আসা মাত্রই তিনি ভূয়া বিল বানিয়ে টাকা উত্তোলন করে নিয়ে যান। ২০১৩-১৪ ও ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে ঔষধ ক্রয়, এমএসআর ক্রয়, ব্যবহার্য দ্রব্যাদি ক্রয় বাবদ ৯টি বিলের বিপরীতে সাজ্জাদ = ১,০১,৮০১/- (এক লক্ষ এক হাজার আটশত এক) টাকা উত্তোলন করেছেন। উক্ত ভাউচারের মালামাল ক্রয় না করে বিভিন্ন কেন্দ্রের পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকাকে বিভিন্ন ভাবে ভয়-ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক ষ্টক রেজিষ্টারে স্বাক্ষর করিয়ে কৌশলে হাতিয়ে নেন বিলের টাকা। কি মালামাল লিপিবদ্ধ করা হয়েছিল তাও কর্মচারিকে দেখতে দেননি ডাঃ সাজ্জাদ। এখন কর্মচারীরা উক্ত মালামালের হিসাব কিভাবে দেবে বুঝে উঠতে পারছে না। পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকারা সাজ্জাদের ভয়ে মুখ না খুললেও বাস্তবে প্রতিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র পরিদর্শন করলে সত্যতা বেড়িয়ে যাবে। সালথা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণাধীন থাকায় উপজেলার পরিবার পরিকল্পনার স্থায়ী ও দীর্ঘমেয়াদী পদ্ধতির ক্যাম্প হয় বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা সমিতি (এফপিএবি), কমলাপুর, ফরিদপুরে। মহিলা/ পুরুষ স্থায়ী পদ্ধতি অস্ত্রোপাচারে প্রতিটি ক্লায়েন্টের জন্য সাহায্যকারী কর্মী ফি বাবদ যেমন-সার্জিক্যাল এ্যাসিষ্ট্যান্ট ফি বাবদ ৬০/-, অপারেশন থিয়েটার ইনচার্জ ফি বাবদ ৬০/-, এমএলএসএসের ফি বাবদ ৪০/-,আয়ার ফি বাবদ ২০/-,সুইপারের ফি বাবদ ১৫/-,আনুসাঙ্গিক খরচ বাবদ ৮০/- এবং ইমপ্লান্টের প্রতিটি ক্লায়েন্টের জন্য সাহায্যকারীর ফি বাবদ ৩০/-, সুইপারের ফি বাবদ ২০/-, আনুসঙ্গিক খরচ বাবদ ৫০/- টাকা উত্তোলন করা হয়। এই টাকা গুলো নামে, বে-নামে উত্তোলন করা হয়। ২০১৩-১৪ অর্থ বছর হতে ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের (মার্চ/১৬) পর্যন্ত স্থায়ী পদ্ধতি পুরুষ-২৮৬ জন, স্থায়ী মহিলা-৩৬৮ জন ও ইমপ্লান্ট-৮২৪ জন গ্রহিতার মোট = ২,০৯,৯৩০/- (দুই লক্ষ নয় হাজার নয়শত ত্রিশ) টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। উক্ত ভাউচারে অফিসার নিজে সাহায্যকারী কর্মীদের জাল স্বাক্ষর করে অফিস সহকারীর মাধ্যমে বিল উত্তোলন করে নিয়ে যায়। কেউ কে কোন টাকা-পয়সা দেন না।

এছাড়া তিনি স্থায়ী পদ্ধতির পরবর্তী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় সুস্থ্য ক্লায়েন্টের নামে (দি ল্যাব এইড ডায়াগনিষ্টিক সেন্টার) চেম্বারের নিজের বাণিজ্যিক প্যাডে প্রেসক্রিপশন করে পরিবার কল্যাণ সহকারী ও পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকার অজান্তে ঔষধের দোকানের ভূয়া ভাউচার দিয়ে ২০১৪-১৫ ও ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে ৫টি বিলের বিপরীতে উত্তোলন করেছেন = ৫১,৬৪২/- (একান্ন হাজার ছয়শত বিয়াল্লিশ) টাকা। স্থায়ী পদ্ধতির পরবর্তী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার বিলের টাকা ক্লায়েন্টের নিজের রিসিপ করার কথা থাকলেও সাজ্জাদ নিজেই সেই টাকা রিসিপ করে নিজেই ভোগ করেন। ইমপ্রেষ্ট ফান্ডে ম্যানেজারিয়াল ফি বাবদ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও মেডিকেল অফিসার (এমসিএইচ-এফপি) এর ৯৫/- টাকা হারে ধার্য করা আছে। ০২ (দুই) দায়িত্ব থাকা একজন অফিসারের একটা ম্যানেজারিয়াল ফি নেওয়ার কথা থাকলেও কিন্তু তিনি অদ্যবধি ২টি ম্যানেজারিয়াল ফি নিয়ে যাচ্ছে। পরিবার পরিকল্পনার স্থায়ী ও দীর্ঘমেয়াদী পদ্ধতির ক্যাম্প প্রতি মাসে ৪-৫ টি হওয়ার কথা কিন্তু তিনি ৮-১০টি ক্যাম্প দেখিয়ে মাত্র ৪-৫ টি ক্যাম্পের খরচ বহন করে বাকী ক্যাম্পের টাকা হাতিয়ে নেন সাজ্জাদ। প্রতিটি ক্যাম্প বাবদ খরচ দেখানো হয় =২,০০০/-(দুই হাজার) টাকা। ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে কম্পিউটার সামগ্রী খাতে ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। উক্ত টাকা উত্তোলন করা হয়েছে কিন্তু কম্পিউটার সামগ্রী বাবদ কোন মালামাল ক্রয় না করে উক্ত বিলের টাকা তিনি হাতিয়ে নেন। মেডিকেল অফিসার (এমসিএইচ-এফপি) ও উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা একই ব্যক্তি হওয়ায় তিনি উপজেলা চালাচ্ছে এক নায়কতন্ত্র শাসনে। তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুললে তার বিরুদ্ধে বিনা কারণে দেওয়া হয় কারণ দর্শানোর নোটিশ। এ পর্যন্ত ডাঃ সাজ্জাদ অনেক কর্মচারিকে বিনা দোষে দোষী সাব্যস্ত করে কারণ দর্শিয়ে হাতিয়ে নিয়েছেন তার সুবিধা। সেই কারণ দর্শানোর জবাব গুলো আজও টাকার কাছে চাপা পড়ে আছে। কারণ দর্শানোর জবাবের প্রতি উত্তর ডাঃ সাজ্জাদ কাউকে দেয়নি।

গত ২১ জানুয়ারী’ পরিবার পরিকল্পনা সহকারী জনাব দিলীপ কুমার সরকারকে সরকারি টাকা আতœসাত করার অভিযোগে অভিযুক্ত করে কারণ দর্শানোর চিঠি দেয়। কিন্তু কারণ দর্শানো চিঠিতে = ১৫,৮০৮/- (পনের হাজার আটশত আট) টাকার জবাব চাওয়া হলেও তদন্ত ছাড়াই উক্ত কারণ দর্শানো চিঠি অজ্ঞাত হয়ে যায়। এছাড়া চিঠিতে বিভিন্ন দপ্তরে অনুলিপি দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি সে সকল দপ্তরে চিঠি কৌশলে পাঠায় না। এভাবেই সকল কর্মচারীর কারণ দর্শানোর চিঠি অজ্ঞাত হয়ে যায়। ভাওয়াল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা মিসেস হাসিনা আক্তার তার নিজ কর্মস্থল বাদ দিয়ে মেডিকেল অফিসার (এমসিএইচ-এফপি) এর ছত্র-ছায়ায় থেকে গট্টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের কোয়াটার জোরপূর্বক দখল করেন। উক্ত কেন্দ্রের পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা মিসেস রোকেয়া বেগম তাকে মৌখিক ভাবে বারংবার বাসা ছাড়ার জন্য তাগিদ দিলেও হাসিনা মেডিকেল অফিসার এর দোহায় দিয়ে কথা এড়িয়ে যান। পরবর্তীতে রোকেয়া গত ২৮ এপ্রিল’১৬ তারিখে মেডিকেল অফিসার (এমসিএইচ-এফপি) এর বরাবর লিখিত আবেদনপত্র দাখিল করেন। তার আবেদনপত্রে সংশ্লিষ্ট উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয় সুপারিশ করেন। কিন্তু সাজ্জাদ আবেদনপত্রটি মূল্যায়ন না করায় পরবর্তীতে উপ-পরিচালক, পরিবার পরিকল্পনা, ফরিদপুরকে বিষয়টি অবহিত করেন। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ৪ মে গট্টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র হতে পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা হাসিনাকে বাসা হতে প্রত্যাহারের ব্যাপারে উপ-পরিচালক মহোদয় মেডিকেল অফিসারকে সম্বোধন করে একটি চিঠি প্রেরণ করেন। কিন্তু অদ্যবধি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আদেশ অমান্য করে এখনও হাসিনা কোয়াটারে অবস্থান করছেন এবং এলাকার স্থানীয় লোকজন জড়ো করে বিশৃংখলা সৃষ্টি করছেন। তার অশ্লীন ও উদ্ধুত্ত আচরণ এবং বহিরাগতদের দিন-রাত ২৪ ঘন্টা আসা-যাওয়ার কারণে উক্ত কেন্দ্রের পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা এবং উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার চাকুরী করতে পারছেন না। তার অত্যাচারে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার কোয়াটার ছেড়ে অন্যত্র বাসা খুজতে বাধ্য হচ্ছে। কেন্দ্রের এই সমস্যা হতে পরিত্রানের জন্য উক্ত কেন্দ্রের কর্মচারীরা কর্তৃপক্ষের নিকট সহযোগিতা চাচ্ছে। গট্টি কেন্দ্রের পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা রোকেয়া বারবার বাসা ছাড়ার কথা বলার পর সাজ্জাদ গত ১৮ মে’ গট্টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র হতে পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা মিসেস হাসিনা আক্তারকে বাসাটি খালি করে দেওয়ার জন্য একটি চিঠি ইস্যু করে। চিঠিটি ইস্যু করে সাজ্জাদ হাসিনার সাথে আলাপ করে ৫ (পাঁচ) দিনের মধ্যে তাকে স্বামীর বাড়ী টাঙ্গাইলে পাঠিয়ে দেন। এতে বিষয়টি সমাধান না করে অপরাধীকে টাঙ্গাইলে পাঠিয়ে দেওয়া এটা কোন ধরণের শুভংকরের ফাঁকি বুঝে উঠতে পারছে না কর্মচারীরা।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, সাজ্জাদের বাড়ী মাগুরা জেলার মুহাম্মদপুর উপজেলায়। অবৈধ ভাবে উপার্জন করা বিপুল পরিমান অর্থ দিয়ে কিনেছেন শত শত একর জমি। ফরিদপুর শহরের বিভিন্ন জায়গায় জমি রয়েছে তার। শহরের গোয়ালচামট গৌর বিগ্রহ আঙ্গিনার পাশে তিনি তৈরী করেছেন অবৈধ টাকা দিয়ে পাঁচ তলা বিশিষ্ট স্বপ্নমহল। শহরের প্রাণকেন্দ্র ঝিলটুলীর ওয়াসিত্ব টাওয়ার -৩ এর ৫ম তলার ফ্লাটটি ও তার। স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক ফরিদপুর শাখায় তার নিজে নামের একাউন্টে আছে কোটি কোটি টাকা। সরকারী চাকুরির অন্তরালে ঘুষ দূর্নীতির কেন্দ্র তৈরী করেছেন ভাঙ্গা ও সালথা উপজেলার পরিবার পরিকল্পনা বিভাগকে। কর্মচারিদের বিভিন্ন ভাবে ভয়-ভীতি দেখিয়ে তিনি হাতিয়ে নিচ্ছেন বিপুল পরিমাণ অর্থ। এই অর্থ দিয়েই তিনি বানিয়েছেন পাহাড় সমান সম্পদ। নির্যাতিত কর্মচারীরা বলেন- ডাঃ সাজ্জাদ হোসেন দূর্নীতির মাধ্যমে যে পাহাড় সমান সম্পদ গড়েছেন সেই অসৎ অর্থের অনুসন্ধানে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ ও দুদকের হস্তৎেক্ষপ কামনা করছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ডাঃ সাজ্জাদ হোসেনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাকে একদিনও অফিসে এবং মোবাইল ফোনে পাওয়া যায়নি।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

গাজীপুর

গাজীপুরে বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনে পুনরায় রেস্টুরেন্ট চালু, আতঙ্কে স্থানীয়রা

Avatar photo

Published

on

গাজীপুর প্রতিনিধি:
গাজীপুরে বিস্ফোরণে বিধ্বস্ত ভবনে অননুমোদিতভাবে পুনরায় রেস্টুরেন্ট চালু হওয়ার বিগত ৫ বছরেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। বেইলি রোড ট্র্যাজেডির পর রেস্টুরেন্টটিতে পুনরায় দুর্ঘটনার আশঙ্কায় রীতিমতো আতঙ্গে ভুগছেন প্রতিবেশীরা। রেস্টুরেন্ট মালিক বিস্ফোরণের ঘটনাকে ‘অগ্নিকাণ্ড’ উল্লেখ করে বীমা কোম্পানি থেকে কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ পেলেও আশপাশের ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে আজও দাঁড়ায়নি কেউ। উন্মুক্ত আলো-বাতাস বিহীন ওই রেস্তোরাঁর বদ্ধ রান্নাঘরে এক ভয়াবহ বিস্ফোরণে ভবনের ভেসমেন্ট লন্ডভন্ড হয়ে যায় এবং কয়েকটি ভবনের মূল কলাম ভেঙ্গে পড়ে।

উল্লেখ্য বিগত ২০১৯ সালের ৭ সেপ্টেম্বর রাতে গাজীপুর মহানগরীর বোর্ড বাজারে অবস্থিত বাংলার রাঁধুনি রেস্তোরাঁয় সংঘটিত ওই বিস্ফোরণে ১ জন নিহত ও ১৭ জন আহত হয়। ব্যস্ততম বোর্ড বাজার বাসস্ট্যান্ডে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ঘেঁষেই মনসুর আলী সুপার মার্কেটের নীচ তলায় রেস্তোরাটি অবস্থিত। বিস্ফোরণে রেস্তোরাঁর ভেতরে থাকা লোকজন ছাড়াও পথচারিরাও আহত হয়। মহাসড়কের বিপরীত পাশে বোর্ডবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে গিয়েও বিস্ফোরিত বস্তু আঘাত আনে। মসজিদের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ আজও ওই ভয়াবহ বিস্ফোরণের সাক্ষী হয়ে আছে।

স্থানীয়দের প্রশ্ন, আর কত ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও প্রাণ ঝরলে কর্তৃপক্ষ সজাগ হবে। ওই ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে। এ ঘটনায় গঠিত পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটির রিপোর্ট জমা দেয়া পর্যন্তই সবার দায়িত্ব শেষ। পরবর্তীতে রেস্তোরাঁ বা ভবনটির কার্যক্রম সম্পর্কে আর কেউ খবর রাখেনি। এ সংক্রান্ত তদন্ত কমিটির প্রস্তাবনা-নির্দেশনাও আর বাস্তবায়ন হয়নি। বরং যথাযথ নিয়ম কানুন প্রতিপালন ছাড়াই চিহ্নিত ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটিতে আগের জায়গায় রেস্তোরাঁ চালুসহ সব ধরনের কার্যক্রম চলছে আরো জোরেশোরে। এতো বড় একটা দুর্ঘটনার পরও যেনতেনভাবে সেই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পুনরায় রেস্টুরেন্ট চালু হওয়ায় বিস্ময়ে অবাক স্থানীয়রা। ভবনটি সংস্কার বা পুনঃনির্মাণে রাজউকের অনুমোদন ও ফায়ার সার্ভিসের অনাপত্তি সনদও নেয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেনি রেস্তোরাঁ ও ভবন মালিকপক্ষ।ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটিতে কীভাবে আগের মতই সব কার্যক্রম চলছে তা যাচাই করে দেখারও সময় হয়নি সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের।

পাশের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও ভবন মালিকরা জানান, বিস্ফোরণে ক্ষয়ক্ষতি হলেও রেস্টুরেন্ট মালিক ‘অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত বাবদ’ বীমা কোম্পানি থেকে এক কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ লাভ করেন। অথচ ওই রেস্তোরাঁ মালিকের কারণে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের কাউকেই একটি টাকাও ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়নি। বিগত ২০২১ সালের ২৭ জুন রাজধানীর মগবাজারে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ৭ জন নিহত হওয়ার পর দিনই প্রতিবেশী আতঙ্কগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে বাংলার রাঁধুনি রেস্তোরাঁর কার্যক্রম পরিচালনা প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক, পুলিশ কমিশনার এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সসহ সরকারের বিভিন্ন দফতরে আবেদন করেন। প্রায় তিন বছর পেরিয়ে গেলেও আজও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো ব‍্যবস্থা গ্রহণ করেননি। সম্প্রতি রাজধানীর বেইলি রোডের একটি ভবনে রেস্টুরেন্টে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রায় অর্ধশত প্রাণহানির ঘটনায় গাজীপুর বোর্ড বাজারের আলোচিত বাংলার রাঁধুিন রেস্তোরাঁ সংলগ্ন ব্যবসায়ীদের মধ্যে এখন রীতিমতো আতঙ্ক বিরাজ করছে।

স্থানীয়দের প্রশ্ন, বাংলার রাঁধুনির জরুরি বর্হিনির্গমন ব্যবস্থা না থাকা ভবনের ভেতরে আটকে থাকা মানুষগুলোর পরিণতি যদি নতুন কোনো বেইলি রোড ট্র্যাজেডি তৈরি করে তাহলে তার দায়ভার কে নিবে? বিগত ২০১৯ সালের দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোরই বা কি হবে যারা পূর্বের দুর্ঘটনার ঋণের বোঝা এখনো বয়ে বেরাচ্ছেন। রাঁধুনি রেস্তোরাঁর মালিক হাবিব কিন্তু ঠিকই ইন্সূরেন্সের টাকা দিয়ে তার ক্ষতি পুষিয়ে নিবেন। রাশেদের মতো সন্তান হারানো মায়ের কোল ভরিয়ে দিবে কে?

এদিকে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বাংলার রাঁধুনি রেস্তোরাঁর মালিক হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, ভবনটি যথাযথভাবে সংস্কার করেই আমরা পুনরায় রেস্তোরাটি চালু করেছি। এখন আর কোন ঝুঁকি নেই।

Continue Reading

গাজীপুর

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের মেমোরিয়াল ডে-২০২৪ উদযাপন

Avatar photo

Published

on

কর্তব্যরত অবস্থায় জীবন উৎসর্গকারী পুলিশ সদস্যের স্মরণে “পুলিশ মেমোরিয়াল ডে-২০২৪” উদযাপন করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ।

‘কর্তব্যের তরে, করে গেলে যাঁরা,আত্মবলিদান-প্রতিক্ষণে স্মরি, রাখিব ধরি, তোমাদের সম্মান’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে শনিবার এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোঃ মাহবুব আলম বিপিএম পিপিএম(বার)।

অনুষ্ঠানের শুরুতে কর্তব্যরত অবস্থায় জীবন উৎসর্গকারী পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার। পরে ১ মিনিট নীরবতা পালন ও কর্তব্যরত অবস্থায় নিহত পুলিশ সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে কর্তব্যরত অবস্থায় নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবারবর্গ ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Continue Reading

গাজীপুর

মাদক দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ কোনাবাড়ি থানার এএসআইয়ের বিরুদ্ধে

Avatar photo

Published

on

গাজীপুর প্রতিনিধি :

ঘুষ না দেয়ায় মাদক মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) কোনাবাড়ি থানা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে। তিনি কোনাবাড়ির বিভিন্ন এলাকায় একের পর এক অন্যায় করে বেড়াচ্ছেন। তার বিরুদ্ধে রয়েছে বেশকিছু অভিযোগ।

এ সংক্রান্ত বিষয়ে নিয়ে ওই এএসআই রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীর দাদা মোঃ লাল মিয়া (৬২) নামে এক ব্যক্তি গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি অপরাধ (উত্তর) বিভাগে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লিখিত অভিযোগ করেছেন। তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এএসআই রুহুল আমিন।

লিখিত অভিযোগে লাল মিয়া জানায়, গেল ৪-ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা অনুমান সাড়ে ৫টার দিকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন কোনাবাড়ি থানা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এসএআই) রুহুল আমিন ও তার সঙ্গী ফর্মা (সোর্স) মিলে লাল মিয়ার নাতী ইমনকে আমবাগ লালঘাট ব্রিজের কাছে থেকে আটক করে।

পরে তাকে ধরে নিয়ে মিতালী ক্লাব সংলগ্ন ভুক্তভোগীর বর্তমান ঠিকানার ভাড়াবাসায় এসে মাদকদ্রব্যের কথা বলে ঘরে প্রবেশ করেন ওই দারোগা এবং তার সোর্স মোঃ শরিফ মিয়া। এ সময় তাদের ঘরে থাকা বিভিন্ন আসবাবপত্র বিছানা, আলমারি, সুকেশ তল্লাশি করেন তারা। তল্লাশিরকালে ইমনদের বাসায় মাদকদ্রব্য সংক্রান্ত কোনো কিছুই পায়নি ওই পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক।

এ পর্যায়ে তাদের ঘর তল্লাশি শেষে কিছু না পেয়ে এএসআই রুহুল আমিন ও তার সঙ্গে ফর্মা (সোর্স) ঘরে থাকা স্টিলের আলমারি থেকে নগদ তিন হাজার টাকা, সুকেশ এর ড্রয়ার থেকে আট আনা স্বর্ণের একটি চেইন, আট আনা ওজনের একজোড়া স্বর্ণের কানের দুল, তিন আনা ওজনের একটি আংটি এবং ব্যবহৃত অপ্পো ব্রান্ডের পুরাতন মোবাইল সেট নিয়ে নেয়।

পরে পুলিশের সঙ্গে থাকা সোর্স শরিফ এবং চাঁন মিয়া অভিযোগকারীর নাতী ইমনকে মারধর করে এবং টাকা দিতে বলে। টাকা না দিলে মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে বলে ইমনের মাকে হুমকী দিয়ে ইমনকে নিয়ে চলে যায়।

লিখিত অভিযোগকারী ইমনের দাদা লাল মিয়া বলেন, এরপর ৫-ফেব্রুয়ারি অনুমানিক রাত দেড়টার দিকে এএসআই রুহুল তার সোর্স মোঃ শরিফ (২০বাসায় পাঠায় এবং ১নং আসামি ইমনের মা রাশেদা বেগমের কাছে (৫০) পঞ্চাশ হাজার টাকা দিতে বলে। ৫০ হাজার টাকা দিলে থানা থেকে তার ছেলে ইমনকে ছেড়ে দেয়া হবে।

অভিযোগকারী লাল মিয়া জানায়, তার ছেলে নুর আলম নাতী ইমনসহ পরিবার নিয়ে বর্তমান ঠিকানায় দুই বছর যাবৎ বসবাস করছেন। ইমনের বাবা নুর আলম নছের মার্কেট এলাকায় ভিভিন্ন ঝুটগুদামে ডেইলী লেবারের কাজ করেন। আর নাতী ইমন বাসায় থেকে সুইং মেশিন চালিয়ে প্যান্ট ও গেঞ্জির কাজ করে সংসার চালিয়ে আসছে। আমি এবং আমার পরিবারের কেউই কখনো মাদকদ্রব্য সেবন, গ্রহণ এবং ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে সম্পৃত্ততা নেই এমন কি এলাকার কেউ বলতে পারবে না যে, আমার নাতী ইমন মাদকের সংঙ্গে জড়িত।
অথচ দারোগা রুহুল সন্দেহ বশত্ব রাস্তা থেকে আমার নাতীকে গ্রেপ্তার করেন। ওই পুলিশ কর্মকর্তা টাকা চেয়েছিল, মূলত টাকা না দেয়ার কারণে আমার নাতিকে মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দিয়ে জেলে প্রেরণ করেছেন রুহুল দারোগা। এই বিষয়ে সত্যতা যাচাইয়ের জন্য আমার বর্তমান ঠিকানা ভাড়া বাসার সামনে স্থাপনকৃত সিসি ক্যামেরায় সংরক্ষিত সব ভিডিও ফুটেজ রয়েছে। ওই ভিডিও ফুটেজে এএসআই রুহুল আমিনসহ সোর্সদের দেখা গেছে ইমনের বাসায় ঢুকতে। ভিডিও ফুটেজে ইমনকে মারপিট করার শব্দও শোনা গেছে।

ইমনের বাবা নুর আলম বলেন, আমার ছেলে ইমনের সঙ্গে মিতালী ক্লাব উত্তরপাড়া এলাকার নয়ন (১৯) কেও গ্রেপ্তার করে হয়। নয়নকে ১৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট আর আমার ছেলেকে ২৫পিস ইয়াবা চালান করা হয়েছে।

তিনি বলেন, রুহুল নয়নের পরিবারের কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা নিয়ে নয়নকে ১৫পিস ট্যাবলেট দিয়েছে।

ইমনের বাবা বলেন, আমি গরীব মানুষ বিভিন্ন ঝুট-গুদামে লেবারের কাজ করে কোনো মতে সংসার চালায়। আমার ছেলেকে যেদিন গ্রেপ্তার করা হয় সেদিন বরিশালে পীরের দরবারে ছিলাম। বাসায় এসে শুনি আমার ছেলে ইমনকে মাদক মামলায় গ্রেপ্তার করে জেলে দেয়া হয়েছে। আমি মেয়ের জন্য আস্তে আস্তে কিছু স্বর্ণের জিনিস করেছিলাম সেগুলোও ওই পুলিশ নিয়ে গেছেন। সোর্স ওবায়দুল ওই গয়না গুলো খুলে নেন। টাকা দিতে পারিনি বিধায় আমার ছেলেকে মাদক মামলায় জড়ানো হয়েছে।

ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, ইমনকে মাদক মামলায় ফাঁসানোর পরে তারা খুব মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছে। এর প্রতিকার চেয়ে দারোগা রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে বর্ণিত বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্তের দাবী করে লিখিত অভিযোগ করেছি।

তবে এসব অভিযোগ এএসআই রুহুল আমিন অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে তারা মিথ্যা অভিযোগ করছেন।

জিএমপি কোনাবাড়ি থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ মহিউদ্দিন ফারুক জানান, অন্যায় করতে পছন্দ করি না, কেউ যদি অন্যায় করে সমর্থনও করি না, পুলিশের কেউ যদি এমন অপরাধ করে থাকে তাহলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আছেন তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিবে।

Continue Reading