Connect with us

চাঁদপুর

ঈদ উপলক্ষে মেঘনার তীরে বিনোদন পিপাশুদের ঢল

Published

on

চাঁদপুরের মতলব উপজেলার মেঘনার তীরে ষাটনল পর্যটন কেন্দ্র।

চাঁদপুরের মতলব(উ.) উপজেলার মেঘনার তীরে ষাটনল পর্যটন কেন্দ্র।

মতলব(চাঁদপুর)প্রতিনিধি: ঈদের দিন থেকে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র মেঘনার তীরে বিনোদন পিপাসু হাজারো মানুষের ঢল নামছে। ষাটনল পর্যটন কেন্দ্র থেকে শুরু করে মোহানপুর, এখলাছপুর পর্যন্ত মেঘনা-ধনাগোদা বেড়ী বাঁধ রক্ষায় ব্লকে কয়েক কিলোমিটার এলাকায় মানুষের ভিড় থাকছে।
ঈদের লম্বা ছুটির শেষ পর্যায়ে শনিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত মানুষের উপচে পড়া ভিড়ে কোথাও দাঁড়ানোর জায়গা পর্যন্ত ছিল না। মেঘনার তীরে বিনোদন পিয়াসি মানুষের অস্বাভাবিক ভিড় লক্ষনীয় ছিল।
এদিকে ভরা মেঘনায় পরিবার-পরিজন নিয়ে কেউ কেউ নৌকা ভ্রমণে বের হচ্ছেন। আবার কেউ নদীর তীরে বসে বন্ধু-বন্ধব নিয়ে চুটিয়ে আড্ডা দিচ্ছেন। সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত থাকছে মানুষের কোলাহল।
ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে টানা ৯ দিনের ছুটি শেষ হয় শনিবার। টানা ছুটিতে প্রতিদিনই মানুষের ঢল নামে মেঘনার তীরে। কর্ম ব্যস্ততার পরিবর্তে যেনো চারপাশে কেবল স্বজনদের মিলন মেলা। ঈদের ছুটি শেষে বৃহস্পতিবার অফিস-আদালতের কার্যক্রম শুরু হলেও অনেকেই প্রস্তুতি নিয়েছেন রবিবার থেকে কর্মস্থলে যোগ দেয়ার। তাই মতলবে ছুটির আমেজ এখনো কাটেনি।
মতলব উত্তরে বিনোদন কেন্দ্র না থাকায় মানুষের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে মেঘনার তীর। ছোট-বড় সবার কাছে সমান পছন্দ এই মেঘনার তীর। তবে লাখো মানুষের অতিরিক্ত ভিড়ের চাপে মেঘনার তীরে বেড়াতে আসা অনেকেই বিড়ম্বনায় পড়ছেন। চাঁদপুরের মতলব(উ.) উপজেলার মেঘনার তীরে ষাটনল পর্যটন কেন্দ্র।

তবে ঈদের দিন মতলব উত্তরের ছেংগারচর পৌর শিশু পার্ক (জজনগর) বিনোদন কেন্দ্রেও মানুষের কোলাহলে মুখরিত হয়ে উঠে।
অন্যদিকে বিনোদন পিপাসু মানুষের ভিড়ের কারণে মেঘনার তীরে চটপটি থেকে শুরু করে বিভিন্ন মৌসুমী ফল, ভাজা, বাদাম বিক্রেতাদের ব্যবসাও জমে উঠেছে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিক্রিতে ব্যস্ত থাকছে এসব ফুটপাতের বিক্রেতারা। মেঘনার তীরের চটপটি বিক্রেতা সাহেব আলী বলেন, ঈদের দিন বিকেল থেকে প্রচুর ব্যবসা হচ্ছে। প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা লাভ করছেন। তার একার নয়, সব বিক্রেতারই একই অবস্থা। সাহেব আলী বলেন, তার মতো মেঘনার তীরের অন্য ব্যবসায়ীরা দুই ঈদের দিকে তাকিয়ে থাকেন। এ সময় ব্যবসা করে বেশি লাভ করা যায়। কিন্তু অন্য সময়ে অতো লাভ হয় না। ক্রেতার দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *