Connect with us

ফিচার

বর্ষার আনন্দে মেতে উঠেছে বৃষ্টি ভেজা কদমফুল

Published

on

 কদমফুলমতিন রহমান, মাগুরা: বাংলার প্রকৃতিতে বাঙালি ওকদম ফুল যেন একই সূত্রে গাঁথা। কদম ফুলের সুঘ্রাণে প্রতিটি বাঙালিকে করে তোলে প্রকৃতির প্রতি আবেগময়। প্রতিবছরই বর্ষা ঋতুর প্রথম দিকের মাস আষাঢ়েতে ফুটে থাকে কদম ফুল। আর এটাই হলো আবহমান কাল ধরে চলা বাংলার প্রাকৃতিক নিয়ম।
বর্ষার বিরামহীন বর্ষণেই গাছের শাখা-প্রশাখায় সবুজ পাতার আড়ালে অসংখ্য কদম ফুল ফুটে উঠেছে। হলুদ সাদা রংয়ের গোল বলের মত এই ফুলটি এখন শোভা পাচ্ছে কদমের সবুজ গাছে গাছে।
বাড়ির আশেপাশে জন্মানো বনবৃক্ষ কদমের গাছে গাছে ফুটে উঠা ফুলের সুগন্ধে মানুষের মনে জাগিয়ে দিচ্ছে এক অনাবিল প্রশান্তি ওবর্ষার অনুভূতি। খোলা আকাশে মেঘের গর্জন ও প্রচণ্ড ভারী বর্ষণই মনে করিয়ে দেয় এটা কদম ফুলের সিজন।
তবে বর্তমানে এই ফুল গাছটি প্রকৃতি থেকে প্রায় হারিয়ে যাওয়ার দিকে। যেখানে সেখানে আর দেখা মিলছে না অপরুপ সৌন্দর্য নিয়ে দাড়িয়ে থাকা কদমফুল গাছ।গ্রাম বাংলার শিশু কিশোর-কিশোরীরা কদমতলায় কদম ফুলের পাঁপড়ি ছাড়িয়ে খেলা করতো। অনেকগুলো ফুলকে এক জায়গায় তোড়া বানিয়ে প্রিয় মানুষটিকে কদম ফুল উপহার দিতো।
কিন্তু সেই গাছটির আজ যেন নাকাল অবস্থা।কালের বিবর্তন ও লাভের অঙ্কের দর কষাকষিতে কদম গাছ লাগানোর কথা ভাবতেই পারছে না মানুষ। বরং এই গাছের বদলে লাগাচ্ছে মেহেগনি, আম, নারিকেলসহ ইত্যাদি গাছ।
তবে প্রকৃতির মধ্যে থেকে কদমফুম গাছ হারিয়ে গেলেও বর্ষার সেই টিপটিপ জলরাশি তার বন্ধুরুপেই কল্পনায় মিলাচ্ছে এই কদম ফুলকে। শ্রাবনের ফোঁটা ফোঁটা জলরাশি যেন মায়ার টানে পড়ছে কদমফুলের পাঁপড়িতে। বাতাসে ছোট ছোট করে দোল খাচ্ছে কাল্পনিক সুরে। কদম ফুলগাছ হারাতে বসলেও এখনো গ্রামের সব জায়গা থেকে হারিয়ে যায়নি এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যপূর্ণ সবুজ বনবৃক্ষের মধ্যে থাকা কদম ফুলগাছ। মাগুরার গ্রামে গ্রামে একটু পলক তাকালেই চোঁখে পড়বে এমন মৌ-মৌ সুগন্ধে ভরা কদমফুল।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *