আন্তর্জাতিক
তুরস্কে অভ্যুত্থানকারীদের মিলিটারি সদরে হামলায় ১৭ পুলিশ নিহত
তুরস্কে সামরিক অভ্যুত্থান চেষ্টার অংশ হিসেবে আংকারার পার্লামেন্ট ভবনে বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছে। স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এপি এ খবর জানিয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর তুরস্কের টেলিভিশন জানিয়েছে, বিস্ফোরণে কয়েকজন পুলিশ অফিসার ও পার্লামেন্ট কর্মী আহত হয়েছেন।
এপির খবরে হতাহত ও সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানানো হয়নি। স্থানীয় এক বাসিন্দা এপিকে বলেছেন, তিনি বড় ধরনের বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। দালান থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখেছেন। তবে সেই ধোঁয়া পার্লামেন্ট ভবনের কিনা, তা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি। ওই ব্যক্তি মাটির খুব কাছ দিয়ে ফাইটার জেট উড়ে যেতে দেখেছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্স এক প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে আংকারার বিমানবন্দরে হামলার খবর দিয়েছে। আর উইকিলিকস-এর টুইটার একাউন্ট থেকে তুরস্কের সেনা সদর দফতরে হামলারও খবর মিলেছে। এদিকে সিঙ্গাপুরভিত্তিক সংবাদমাধ্যম স্ট্রেইট টাইমস ১৭ জন পুলিশ নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, শনিবার মধ্যরাতে ক্ষমতা দখলের ঘোষণা দিয়ে তুরস্কের ডানপন্থী সরকার উচ্ছেদের দাবি করেছে দেশটির সেনাবাহিনীর একাংশ। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত এক বিবৃতিতে তারা জানায়, ‘গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও মানবাধিকার রক্ষার স্বার্থে’ সশস্ত্র বাহিনী তুরস্কের ক্ষমতা দখল করেছে। টেলিভিশনের পর্দায় পড়ে শোনানো ওই বিবৃতিতে বলা হয়, এখন ‘শান্তি পরিষদ’ দেশ চালাবে এবং সান্ধ্য আইন ও সামরিক আইন জারি থাকবে। একই সঙ্গে তুরস্কের বিদ্যমান বৈদেশিক সব সম্পর্ক বহাল থাকবে এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা প্রাধান্য পাবে ।
এদিকে সরকারের পক্ষ থেকে একে অভ্যুত্থানের খবর নাকচ করে এর জন্যে সেনাবাহিনীর একাংশকে দায়ী করা হয়েছে।‘সেনাবাহিনীর একটি সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর’ এই বিদ্রোহ পরিস্থিতি কঠোরভাবে জয় করার অঙ্গীকার করেছেন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। সিএনএন তুর্ককে মোবাইল ফোনে তিনি এই প্রচেষ্টাকে একটি ‘সমান্তরাল কাঠামোর’ কাজ হিসেবে বর্ণনা করে এবিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন বলে জানান। এই বিদ্রোহ নস্যাৎ করতে জনগণকে রাজপথে নেমে আসারও ডাক দেন এরদোয়ান। তার ডাকে সাড়া দিয়ে রাস্তায় নামে হাজারো মানুষ।