আন্তর্জাতিক
তুরস্কে তিন মাসের জরুরি অবস্থা জারি
তিনি এ সামরিক অভ্যুত্থানের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক ধর্মীয় নেতা ফেতুল্লাহ গুলেন ও তার অনুসারিদের দায়ী করেন। এ অভ্যুত্থানের ঘটনায় প্রায় ৫০ হাজার লোককে গ্রেফতার এবং সন্দেহভাজন ‘ষড়যন্ত্রকারীদের’ বরখাস্ত করা হয়েছে। জরুরি অবস্থা জারির কারণ ব্যাখ্যা করে প্রেসিডেন্ট বলেন, তুরস্কের গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও জনগণের স্বাধীনতার প্রতি হুমকির বিরুদ্ধে দ্রুত ও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়াই জরুরি অবস্থা জারির উদ্দেশ্য।
আঙ্কারায় প্রেসিডেন্ট প্যালেসে এরদোয়ান বলেন, জরুরি অবস্থা তিন মাস থাকবে। জরুরি অবস্থা জারির ফলে অভ্যুত্থানচেষ্টায় জড়িত ব্যক্তি ও সমর্থকদের বিরুদ্ধে দ্রুত ও চূড়ান্ত ব্যবস্থা নিতে পারবে সরকার। এরদোয়ান সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে থাকা সব ‘ভাইরাস’ পরিস্কারের এবং অভ্যুত্থানচেষ্টার বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে যারা প্রাণ দিয়েছেন, তাদের ‘শহীদ’ বলে বর্ণনা করেন। সরকারি হিসাবে, অভ্যুত্থানচেষ্টা প্রতিহত করতে গিয়ে অন্তত ২৪৬ জন নিহত হয়েছে।
অভ্যুত্থান ব্যর্থ হওয়ার পর তুরস্কে সরকার, নিরাপত্তা বাহিনী, বিচার বিভাগ, প্রচারমাধ্যম, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপক অভিযান চালানো হচ্ছে। জরুরি অবস্থায় এই অভিযান আরও জোরদার হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ জরুরি অবস্থা জারির আগে এরদোয়ান নিজেও তার ইঙ্গিত দিয়ে বলেছেন, অভিযান এখনো শেষ হয়নি।
দেড় মাস স্থায়ী হবে : তুরস্কে গত সপ্তাহের ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের হোতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তিন মাসের জরুরি অবস্থা জারি করা হলেও তা বড়জোর ৪৫ দিন স্থায়ী হবে বলে গতকাল বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী। বেসরকারি টেলিভিশন এনটিবি উপ-প্রধানমন্ত্রী নুমান কুরতুলমুসের উদ্ধৃতি দিয়ে জানায়, ‘আমরা যতদ্রুত সম্ভব জরুরি অবস্থার অবসান ঘটাতে চাই।’ তিনি বলেন, ‘অবস্থা স্বাভাবিকে ফিরলে আমরা মনে করি জরুরি অবস্থা তুলে নিতে বড়জোর এক কি দেড় মাস লাগবে। আশা করি এরপর এর মেয়াদ বাড়ানোর প্রয়োজন হবে না।’ এদিকে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি গুলেনের বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ থাকলে তা প্রকাশ বা যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের আহ্বান জানিয়েছেন।