Connect with us

দেশজুড়ে

রংপুরের ৬ষ্ঠ শ্রেণির মেধাবী ছাত্রী আশা বাচঁতে চায়

Published

on

Asha-Rangpur
রংপুর অফিস:
প্রত্যেক শিশুর জম্ম হয় কোন না কোন ভবিষৎ স্বপ্ন বাস্তবায়নের বিশাল বিশাল আশা নিয়ে। চাদঁ মামার সাথে মিতালী করে সুন্দর স্বমহিমায় জীবন ধারনের দ্বীপ্ত বাসনাও থাকে কারো কারো। রঙ্গীন চোঁখে আধাঁর-আলোর খেলায় নিষ্পাপ শিশুরা দুরন্তপনায় যখন উদ্বেলিত, উল্লেসিত। তখন অমাবশ্যার ঘনঘটায় জীবন নামের প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখতে জম্মের পর থেকেই যুদ্ধ চালাতে চালাতে আজ ভীষন ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন রংপুর সদর উপজেলার সদ্যপুস্করিনী ইউনিয়নের কেশবপুর বানিয়াপাড়া গ্রামের অভাগা-অভাগিনী দম্পত্তির কলিজার টুকরো ১২ বছরের সন্তান মোছা. আসমাউল হুছনা আশা নামের বৈরাগীগঞ্জ চহুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির এ মেধাবী ছাত্রী। সেও এই সুন্দর সবুজ-শ্যামলা প্রকৃতিতে আরও ১০টি শিশুর মত জীবন ধারন করতে চায়। মা, মাটি ও মানুষের সংস্পর্শে সিক্ত আশা না ফেরার দেশে মোটেও যেতে চাননা। কিন্তু যে মরন ব্যাধি শরীরে বাসা বেধেঁ তার সকল স্বপ্নকে বাধাগ্রস্থ করছে, তাও তার এখন মোটেও অজানা নয়।
জানা গেছে, জম্মের ৫ বছর পরেই আশার শরীরে (জম্মগত ভাবে) ফুসঁফুসের রক্তনালীতে ব্লক ধরা পড়ে। ধরা পরে, হার্ট ফুটো হওয়ার ঘটনাও। আশা সেসময় কোন কিছু উপলব্ধি করতে না পারলেও দরিদ্র বাবা আকরাম হোসেন ও মা রওশনআরা বেগমের মেয়েকে নিয়ে বাধা সাজানো স্বপ্ন যেন দুঃস্বপ্নে পরিনত হয়ে যায় । দিশেহারা হয়ে পড়েন তারা। ৩ সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয় আসমাউল হুছনা আশা কে বাচাঁতে মরিয়া হয়ে উঠেন অভাবী এ মা-বাবা। চিকিৎসার জন্য ৬ বছর পূর্বেই আশাকে ভর্তি করা হয় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে দীর্ঘদিন ধরে ডাক্তারগনের নিবিড় পরিচর্যায় চলতে থাকে চিকিৎসা সেবা। এতে অনেক টাকাও ব্যয় হয় তাদের। কিন্তু অবস্থার উন্নতি না হলে বোর্ড গঠন করে সিদ্ধান্ত হয় আশাকে ঢাকা জাতীয় হৃদ রোগ হাসপাতালে রেফার্ড করার ।
এসময় কোন উপায়-অন্ত না পেয়ে সন্তানের মুখের হাসি ফোটাতে সম্বল একটুকরো আবাদি জমি, মায়ের হাতের-কানের স্বর্ণালংকার বিক্রি ও ধার-দেনার মাধ্যমে প্রায় ৫(পাচঁ) লক্ষাধিক টাকা সংগ্রহ করে মেয়েকে নিয়ে যান ঢাকা। সেখানে ৭ দফায় চিকিৎসা করা হলেও ডাক্তাররা জানান, তাকে সম্পূর্ণ সুস্থ্য করে তুলতে আরো ৫ থেকে ৬ লক্ষাধিক টাকার প্রয়োজন । ফলে এত টাকা জোগাড় করতে না পেরে বাধ্য হয়ে আশাকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে চলে আসেন তারা। বর্তমানে অর্থাভাবে তার চিকিৎসাও পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবার উপক্রম। তাই গরিব অসহায় এ বাবা-মা তাদের আদরের সন্তান আশার মহা-মূল্যবান জীবন বাচাঁতে দেশের জনপ্রতিনিধি, বিত্তবান, দয়া-দানশীলমানুষ, শিল্পপতি সরকারী, বে-সরকারী সংস্থা, ব্যাংক-বীমা ও এনজিও প্রতিষ্ঠানসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন। সাহায্য পাঠাতে সঞ্চয়ী হিসাব নং-০১০০৯৮৪৬, সোনালী ব্যাং লিঃ কাচারী বাজার শাখা, রংপুর অথবা ০১৭২৩ ৮৩৬ ৪৭০ নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধও জানিয়েছেন তারা।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *