ঢাকা বিভাগ
মসজিদে যাওয়া নিয়ে আ. লীগ-বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ; আহত-১০
আবু নাসের হুসাইন, সালথা(ফরিদপুর)প্রতিনিধি: ফরিদপুরের সালথায় মসজিদে যাওয়া নিয়ে আ. লীগ ও বিএনপির সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের জগনাথদি গ্রামে এঘটনা ঘটে। এতে উভয় গ্র“পের ১০ জন আহত হয়। আহতদের বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার সকালে জগনাথদি গ্রামের প্রবীন আ. লীগ কর্মী আলাউদ্দীন মোল্যা (৯০) বাড়ির পাশে জান্নাতুল বাকি জামে মসজিদে যাওয়ার সময় একই গ্রামের বিএনপির কর্মী সামচেল মুন্সী (৭০) বাধা দেয়। তার বাধা উপেক্ষা করে বৃদ্ধ আলাউদ্দীন লাঠি ভর দিয়ে মসজিদের দিকে অগ্রসর হলে, সামচেল মুন্সী হাত-পা ভেঙ্গে দেওয়ার হুমকি দেয়। এরপর ভয়ে তিনি বাড়ি ফিরে যায়। এঘটনার খবর শুনে আলাউদ্দীনের ছেলে বাবুল মোল্যা মঙ্গলবার সকালে সামচেলের কাছে জিজ্ঞাসা করলে সে উত্তেজিত হয়ে তার ছেলেদেরকে নিয়ে বাবুলের উপর হামলা চালায়। এরপর সামচেলের সমর্থক মৃত জলিল মুন্সীর ছেলে কালু মুন্সী লোকজন নিয়ে মোল্যার মোড়ে বঙ্গবন্ধুর ছবিসহ ব্যানার ছিড়ে নিয়ে যায়। এরই সুত্রধরে উভয় দলের সমর্থকরা রামদা, লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় ঘন্টাব্যাপী চলা এই সংঘর্ষে উভয় দলের অন্তত ১০ ব্যাক্তি আহত হয়। এরমধ্যে আহত বাবুল মোল্যা (৩৫), শাখাওয়াত (৪৫), কামরুজ্জামান জুয়েল (৪০), মফিজ মুন্সী (৩৫), আঃ হক মুন্সী (৪৮) ও রাসেল মুন্সী (৩৩) কে বোয়ালমারী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এবং সামচেল মুন্সী (৭০), লিয়াকত মুন্সী (৪৫), ইমারত মুন্সী (৪০), বাসার মুন্সী (৩৫) কে আলফাডাঙ্গা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ডী.এম বেলায়েত হোসেন বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ হয়নি।