Connect with us

আন্তর্জাতিক

ক্ষমতাচ্যুত ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট রৌসেফ

Published

on

ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট রৌসেফআন্তর্জাতিক ডেস্ক: দিলমা রৌসেফদুর্নীতির অভিযোগে বরখাস্ত হওয়া প্রেসিডেন্ট দিলমা রৌসেফের অভিশংসনের পক্ষে চূড়ান্ত রায় দিয়েছে ব্রাজিলের সিনেট। বুধবার দেশটির সিনেটের ৮১ জন সদস্যের মধ্যে রৌসেফকে অভিশংসনের পক্ষে ভোট দেন ৬১ জন। রৌসেফের ক্ষমতায় থাকার পক্ষে ভোট দেন মাত্র ২০ জন সিনেট সদস্য। রৌসেফ অভিশংসিত হওয়া ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করবেন বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট মাইকেল তেমের।
অভিশংসনের পক্ষে সিনেটের চূড়ান্ত রায়ে রৌসেফের ১৩ বছরের শাসনামলের ইতি ঘটল। তবে রৌসেফের পুনরায় প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই।
রৌসেফের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ক্ষমতায় থাকাকালে ক্রমবর্ধমান ঘাটতি লুকাতে তিনি বাজেটে অবৈধভাবে হস্তক্ষেপ করেছেন। এ অভিযোগে চলতি বছরের মে মাসে ব্রাজিলের পার্লামেন্টে ভোটাভুটির মাধ্যমে তাকে অভিসংশনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং তাকে সাময়িকভাবে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে বরখাস্ত হয়। ছয়মাস ধরে সিনেটে অভিশংসন শুনানি চলে। এ সময় রৌসেফ প্রেসিডেন্টের পদ থেকে বরখাস্ত ছিলেন। অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন রৌসেফের ভাইস-প্রেসিডেন্ট মিচেল তেমের।
তবে রৌসেফ সব সময় তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সিনেটের শুনানিতে আত্মপক্ষ সমর্থন করে জবানবন্দিতে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছেন, তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার কোনও ন্যায্যতা নেই।
রৌসেফ দাবি করেন, তিনি আইন ভঙ্গ করেননি। এমন কোনও কাজ করেননি যার জন্য তাকে অভিশংসন করা যেতে পারে। তিনি বলেন, আমার সরকার ভুল করেছে কিন্তু কখনও ভোটারদের সঙ্গে প্রতারণা করেনি। আমার বিরুদ্ধে অযৌক্তিক ও অন্যায়ভাবে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে, সে অপরাধ আমি কখনও করিনি।
সিনেট শুনানিতে রৌসেফ তার বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রক্রিয়াকে একে ‘সংসদীয় ক্যু’ বলে পুনরায় অভিহিত করেন। তিনি বলেন, আমাকে ক্ষমতাচ্যুত করার কোনও ন্যায্যতা নেই। আমি নির্দোষ, আমি একজন সৎ মানুষ এবং কখনও আমি কোনও অপরাধ করিনি।
যুক্তি উপস্থানের সময় অতীতে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে নিজের সংগ্রামী ভূমিকার কথাও মনে করিয়ে দেন রৌসেফ। তিনি বলেন, তখন আমি অনেক সমর্থ ছিলাম। এখন প্রায় ৭০ বছর আমার বয়স। এখনও আমি শক্তিশালী আছি।’ তিনি জানান, এর আগে তিনি পদত্যাগ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন কারণ তিনি গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।সূত্র: বিবিসি।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *