Connect with us

জাতীয়

সন্ধার পর বেড়েছে টঙ্গির ফয়েলস কারখানার আগুণ

Published

on

mediaitemআগুনে ভবনেরও উপরের অংশটা ধসে পড়েছে।

ডেস্ক রিপোর্ট: টঙ্গীর যে কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণের পর অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ২৫ জন নিহত হয়েছে সেই কারখানাটিতে এখনও দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। শনিবার ভোরে আগুন লাগে। দমকল বাহিনীর কর্মকর্তারা সারা দিন ধরে আগুন নেভাতে চেষ্টা করেন। কিন্তু সন্ধ্যা পার হয়ে রাত আটটাতেও সেই কারখানাটি আগুনে জ্বলছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, বিকেলের দিকে আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা গিয়েছিলো কিন্তু সন্ধ্যার পর সেটা আবার বাড়তে থাকে।
দমকল বাহিনী আগুন নেভাতে চেষ্টা করছে। তারা যখন কারখানার এক পাশে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনছেন তখন দেখা যাচ্ছে যে আরেক পাশে আগুন ছড়িয়ে পড়ছে। সারাদিন আগুনের সাথে এভাবেই যুদ্ধ করেন দমকল বাহিনীর কর্মকর্তারা।
সন্ধ্যার দিকে তারা ভেবেছিলেন যে আগুন হয়তো নিয়ন্ত্রণে এসেছে। কিন্তু রাত নামার পরে দেখা গেলো কারখানা এখনও জ্বলছে। কারখানা ভবনটি পাঁচতলা। আগুনে উপরের তিনটি তলা প্রায় ধসে পড়েছে। উদ্ধারকর্মীরা লোকজনকে ওই ভবনের কাছাকাছি অবস্থান না করতে লোকজনকে সতর্ক করে দিয়েছেন। তারা বলছেন, কারখানার যে কাঠামোটি এখনও পর্যন্ত দাঁড়িয়ে আছে সেটিও যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে।

শ্রমিকদের আত্মীয় স্বজনরা কারখানার সামনে জড়ো হয়েছেন দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর।

সিগারেট, চিপস ও বিভিন্ন খাবার দাবারের প্যাকেটে যে ফয়েল থাকে এই কারখানায় সেটি তৈরি করা হয়। কর্মকর্তারা বলছেন, কারখানায় গতকাল বিপুল পরিমাণে মালামাল আনা হয়েছিলো যেগুলো দাহ্য পদার্থ। সেকারণে বয়লার বিস্ফোরণের পর মুহূর্তের মধ্যেই কারখানাটিতে আগুন ধরে যায় ও তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
তারা বলছেন, এই দাহ্য পদার্থের কারণেই আগুন নেভানো সম্ভব হচ্ছে না। দমকল বাহিনীর কর্মকর্তারা মনে করছেন না যে তারা এই আগুন আর নেভাতে পারবেন।
একজন কর্মকর্তা বলেছেন, মনে হচ্ছে এই আগুন জ্বলতে জ্বলতেই একসময় নিভে যাবে। দুর্ঘটনার সময় কারখানার ভেতরে কতো শ্রমিক ছিলো সেটিও কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না।
কারখানার একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, রাতের শিফটে ৮০ জনের মতো শ্রমিক কাজ করে যারা সকালে চলে যাওয়ার প্রস্তুতি যখন নিচ্ছিলেন তখন এই দুর্ঘটনা ঘটে। সকালের শিফটের শ্রমিকরাও তখন আসতে শুরু করেছিলেন। সুতরাং কারখানার ভেতরে কতো শ্রমিক ছিলো সেটা স্পষ্ট করে জানা যাচ্ছে না।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *