গাইবান্ধা
পলাশবাড়ীতে দিন-দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে “পার্চিং পদ্ধতি”
এ কার্যক্রম সফলের লক্ষে উপজেলার প্রত্যেক ইউনিয়নে নিয়োজিত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের মাঝে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। উপজেলার মোট লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ২ হাজার ৬’শ হেক্টর জমি এ পদ্ধতির আওতায় আনা হয়েছে। এতে পরিবেশ বাঁচিয়ে কৃষকরা স্থানীয় পদ্ধতিতে স্বল্প খরচে পোকা, পোকার ডিম বিনষ্ট করছে। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপজেলা কৃষি অফিসার আজিজুল ইসলাম ও কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষ্ণ রায় জানান, পার্চিং পদ্ধতি এমন একটি পদ্ধতি যা পরিবেশের কোন ক্ষতি করে না। কৃষকদের কোন অতিরিক্ত টাকা পয়সাও ব্যয় করতে হয় না। প্রতিবিঘা জমিতে মাত্র ৭/৮ টি বাঁশঝাড়ের কঞ্চি বা বিভিন্ন গাছের ডালপালা অথবা বাঁশের বাতি দিয়ে পাখি বসার মতো জায়গা করে দিলে পাখিরা আমন ক্ষেতের ক্ষতিকর পোকামাকড় খুব সহজেই খেয়ে ফেলে।
ফলে পোকার আক্রমন থেকে ক্ষেত রক্ষা পায়। ক্ষতিকর পোকামাকড় দমনের জন্য পরিবেশ বান্ধব পার্চিং পদ্ধতি খুবই কার্যকর। এই পদ্ধতির ব্যবহার করে কৃষকরা আমন উৎপাদন বৃদ্ধি করে ইতিবাচক সাফল্য অর্জন করবে বলে কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা জানান।