বিবিধ
বেনাপোলের আগুণ নিয়ন্ত্রণে, ৫০ কোটি টাকার ক্ষতি
কামাল হোসেন, বেনাপোল প্রতিনিধি: বেনাপোল স্থল বন্দরের রবিবার ভোর সাড়ে ৫ টার সময় আমদানিকৃত পন্য আগুন লেগে প্রায় ৫০ কোটি টাকার পন্য পুড়ে ভষ্মীভুত হয়েছে বলে জানান বন্দর কর্তৃপক্ষ।বন্দরের ২৩ নং শেডে হঠৎ ভোর সাড়ে ৫ টার সময় আগুন দাউদাইকরে জ্বলে উঠে আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পরে চতুর্দিকে।
বেনাপোল স্থল বন্দরের উপপরিচালক( ট্রাফিক )আব্দুল জলিল বলেন বন্দরে কিভাবে আগুন লাগল সে ব্যাপারে নৌপরিবহন মন্ত্রনালয়ের যুম্ম সচিব সাফায়েত হোসেনকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশ্ষ্টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অন্যান্যরা হলেন, স্থল বন্দর এর সচিব হাবিবুর রহমান এবং জেলা প্রশাসকের ১জন প্রতিনিধি।
ভারতের বনগাঁও শহর থেকে আগুন এর লেলিহান বুঝতে পেরে পেট্রপোল চেকপোষ্টে ছুটে আসে সেদেশের ফায়ারসার্ভিস এর গাড়ি। আইনিপ্রক্রিয়া শেষ করে তারা বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে প্রায় ২০ মিনিট পর ফিরে যায়। আগুন নিয়ন্ত্রন আনতে সব মিলে প্রায় সাড়ে ৪ ঘন্টা সময় লাগে।
বাংলাদেশের ৭ টি দমকল ইউনিট সকাল থেকে একটানা দুপুর ২টা পযন্ত কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।২৩ নং শেড থেকে আগুন পাশে থানার ভিতর ছড়িয়ে পড়লে থানার ওসি সহ সকল ষ্টাফদের সকলকে থানার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং অন্যান্য আসবাব পত্র সরিয়ে নিতে দেখা গেছে।থানায় বিভিন্ন মামলার ৭ জন আটক আসামিকে ও সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের সাথে স্থানীয় জনগন এবং পোর্ট থানার পুলিশদের কাজ করতে দেখা গেছে। ওসি অপুর্ব হাসান মাথায় হেলমেট পরে হাফপ্যান্ট পরে ফায়ারসার্ভিসের সাথে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করছে।
বন্দর ব্যবহারকারি সিএন্ডএফ এজেন্টরা জানান ২৩ নং শেডে তাদের ভারত থেকে আমদানিকৃত পন্য ক্যামিকেল, ফাইবার, মশা তাড়ানো স্প্রে নিউ হিট, তুলা এ্যাসোসিয়েডস গুডস, কাপড়, কাগজ,সহ বিভিন্ন ধরনের আমাদিন পন্য পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।ওয়ারহাউজের বাইরে থাকা দুটি ভারতীয় ট্রাক একটি প্রাইভেট কার ও দুটি মোটর সাইকেল পুড়ে গেছে। বেনাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষের কোন লোককে ঘটনাস্থলে দেখা যায়নি।
এ ব্যাপারে বন্দর পরিচালক নিতাই চন্দ্র সেনের সাথে ফোনে কথা বললে তিনি বলেন আমি প্রধান মন্ত্রীর একটি বিশেষ প্রশিক্ষনে ঢাকায় আছি। আমার সাথে বন্দরের অফিসারদের সাথে যোগাযোগ চলছে। কি ভাবে আগুন লাগছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন এটা তদন্ত করে বলা যাবে এখন কিছু বলা যাবে না।
এলাকার একটি সুত্র জানায় বৈদ্যুতিক শর্কসার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে। তবে অন্য একটি সুত্র সে কথা উড়িয়ে দিয়ে বলে শর্ক সার্কিট থেকে আগুন লাগলে একজায়গা থেকে আগুন উঠতে থাকবে এ আগুন লাগিয়ে দেওয়া । কারন এ আগুন ২৩ নং শেডের চতুর্দিক থেকে দাউদাউ করে জলে উঠে।
যশোর জেলা প্রশাসক ড. হুমায়ুন কবির ও যশোর ১ আসানের এমপি শেখ আফিল উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।যশোর ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক পরিমল দত্ত বলেন যশোর, মনিরামপুর, কেশবপুর , অভয়নগর, ঝিকরগাছা বেনাপোল সহ মোট ৭ টি ইউনেটে কাজ করছে।