দেশজুড়ে
লক্ষ্মীপুরে ডা. মামুনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে কলেজছাত্রী ফারহানা
আদালত সুত্রে জানা যায়, সেভদ্যা চিলড্রেন এর মা মনি প্রকল্পে চাকুরী করার সুবাধে ফারহানা আক্তার ডাক্তার আশফাকুর রহমান মামুনের পরিচালিত লক্ষ্মীপুর মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে যোগদান করতে হয়। যোগদানের পর ভিন্ন কক্ষ বসার ব্যবস্থা না করে তার (মামুনের) চেয়ার টেবিলে অফিস করার জন্য বলে। একপর্যায়ে শাররীক সম্পর্ক করার প্রস্তাবে রাজি না হলে বিয়ের প্রস্তাব দেয় মামুন। এতে রাজি না হলে ফারহানাকে চাকুরী করতে না দেয়ার হুমকি দেয়া হয়। পরে বিয়ে করার আশ্বাসে ঢাকার তিতুমীর কলেজের সম্মুখে হোটেল অবকাশে নিয়ে ফারহানাকে ধর্ষণ করে। পরে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ইং তারিখে সিলেটে নিয়ে যায়। সেখানে সিলেটের সুরমা ভ্যালী রেস্ট হাউজে মামুনের নামে রুম বরাদ্ধ করে সেখানেও ধর্ষন করে। পরদিন ২৭ ফেব্রয়ারি ডাক্তার ইমামুল, কাজী ও দুই স্বাক্ষীর উপস্থিতিতে ৩০ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্যক্রমে মামুন ও ফারহানার বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের মিথ্যা নাটক সাজিয়ে লক্ষ্মীপুরে ফিরে ৩ মাস ধরে ফারহানাকে ধর্ষণ করা হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। বিষয়টি লক্ষ্মীপুরে জানাজানি হলে চাকুরী ছেড়ে দিয়ে ঢাকায় চলে যেতে বলা হয় ফারহানাকে। একপর্যায়ে কাবিননামা চাইলে বিয়ের বিষয়ে অস্বীকার করে প্রতারণা করার কথা জানান মামুন। একই সাথে তাকে খুন ও জখমের হুমকি প্রদান করা হয়।
ইতিমধ্যে চাকুরীরত অবস্থায় বাংলাদেশ উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) অধীনে লক্ষ্মীপুর মহিলা কলেজে ডিগ্রীতে ভর্তি হন ফারহানা।
পরীক্ষা দেওয়ার জন্য ০৬ অক্টোবর রাতে লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের শাখারীপাড়ায় তার সহকর্মী সবিতার বাসায় আসেন তিনি। ০৭ অক্টোবর পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ শেষে ০৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় ঢাকা যাওয়ার জন্য বাস টার্মিনালে টিকেটের জন্য যান ফারহানা। টিকেট না পেয়ে ওই বাসা ফেরার সময় শাখারীপাড়াস্থ ছোট ব্রীজের নিকট রিক্সা হইতে নেমে হেঁটে বাসায় যাওয়ার এসময় ডাক্তার আশফাকুর রহমান মামুন ও অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন তার উপর হামলা চালায়। এসময় মামুন সিজার অপারেশনের ছোরা দিয়ে ফারহানার নাভীর নিচে ও বুকে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। পরে ঘটনাস্থল থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ঘটনায় রবিবার সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর সদর থানায় একটি মামলা করা হয়। এ বিষয়ে ফারহানা অভিযোগ করে বলেন, ওই মামলাটি তার আরজি মতো না করে পুলিশ তাদের মনগড়া এজাহার করতে তাকে বাধ্য করেন। দুপুর ২ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত তাকে থানায় বসিয়ে রাখা হয়। পুলিশের প্রতি আস্থা রাখতে না পেরে অবশেষে আদালতের স্বরানাপন্ন হন বলে জানান।
ভিকটিমের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জহুর আহমদ চৌধুরী জানান, ফরাহানা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে জুডিসিয়াল তদন্তের নির্দেশ দেন।