জাতীয়
ঐতিহাসিক সফর শেষে ঢাকা ছাড়লেন শি জিনপিং
বিমানবন্দরে বিমানবন্দরের ভিআইপি টার্মিনালে ফুলের তোড়া দিয়ে শি জিনপিংকে বিদায়ী শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের একটি দল চীনা প্রেসিডেন্টকে বিদায়ী অভিবাদন জানায়। এরপর লাল লালিচার উপর দিয়ে চীনা প্রেসিডেন্টকে উড়োজাহাজ পর্যন্ত পৌঁছে দিয়ে বিদায় জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে সকাল নয়টার দিকে জাতীয় স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে পৌঁছে মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন চীনের প্রেসিডেন্ট। সেখানে তাকে স্বাগত জানান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ।
গতকাল শুক্রবার সকালে ঢাকায় এসে পৌঁছলে চীনা প্রেসিডেন্টকে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ও লালগালিচা সংবর্ধনা দিয়ে বরণ করে বাংলাদেশ। বিকালে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা এবং বাণিজ্য, বিনিয়োগ অর্থনৈতিক সহযোগিতার জন্য ২০ মার্কিন বিলিয়ন ডলার মূল্যমানের ২৭টি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয় দুই দেশের মধ্যে।
চীনা প্রেসিডেন্ট হোটেল লা মেরিডিয়ান থেকে বেলা তিনটায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এসে পৌঁছলে তাকে অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ‘শিমুল’ কক্ষে দুই প্রধানমন্ত্রী কিছুক্ষণ একান্ত বৈঠক করেন। বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয় ‘চামেলী’ কক্ষে। এখানে দুপক্ষের আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বাংলাদেশ পক্ষে অর্থমন্ত্রী এএমএ মুহিত, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ছিলেন সেদেশের বাণিজ্য, পররাষ্ট্র, অর্থমন্ত্রীসহ কয়েকজন নীতি-নির্ধারক। দ্বিপাক্ষিক আলোচনা শেষে দুই নেতার উপস্থিতিতে ১৫টি সমঝোতা স্মারক ও ১২টি ঋণ রূপরেখা চুক্তি সই হয়। এছাড়া চীনা অর্থায়নে ছয়টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা ও শি জিনপিং।বিডিপত্র/আমিরুল