রাজধানীর বাজারগুলোতে সবজী-মাছের দাম চড়া

চলতি সপ্তাহে রাজধানীর নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে বিভিন্ন সবজির প্রাচুর্যতা আসলেও দাম যথেষ্ট বেশি। এছাড়া গত কয়েক সপ্তাহের মতো চলতি সপ্তাহেও মাছের দাম কিছুটা চড়া। শুক্রবার সকালে রাজধানীর নিউমার্কেট কাঁচাবাজার, কাওরান বাজার, হাতিরপুল কাঁচাবাজারসহ বিভিন্ন বাজারে গিয়ে খোঁজ নেয়ার পর বাজারের এই চিত্র উঠে এসেছে।

চলতি সপ্তাহে আলু কেজিপ্রতি ২২ থেকে ২৫ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পেঁপে ২৫ থেকে ৩০ টাকা, পটল ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, চিচিংগা ৪৫ থেকে ৫০, ঝিঙে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, মূলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া কেজিপ্রতি ২৫ থেকে ৩০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, শিম ৯০ থেকে ১২০ টাকা, কাকরোল ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, বরবটি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, টমেটো ৮০ থেকে ১২০ টাকা, মাঝারি সাইজের ফুলকপি প্রতি পিস ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, বাঁধাকপি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, প্রতি পিছ মাঝারি সাইজের চাল কুমড়া ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, কাঁচাকলা হালিপ্রতি ১৮ থেকে ২২ টাকা, কাচা মরিচ ১২০ থেকে ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া শশা ৩০ থেকে ৪০ টাকা ও লেবুর হালি ১৮ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

গত কয়েক সপ্তাহের মতো চলতি সপ্তাহে মাছের দাম কিছুটা বেশি। মাছের মধ্যে রুই মাছ সাইজভেদে কেজি প্রতি ১৮০ থেকে ২৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, কাতলা ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, পাঙ্গাস ১০০ থেকে ১৫০ টাকা, ফার্মের কৈ মাছ কেজি প্রতি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, শিং মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, চিংড়ি প্রকারভেদে ৪০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সরকারের ইলিশ মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞার কারণে বিক্রি নিষিদ্ধ। তবে বাজারের কোথাও কোথাও উঁচু দামে ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে।

চলতি সপ্তাহে পেঁয়াজ ও রসুনের দামও অপরিবর্তিত আছে। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া ভারতীয় রসুন ১৮০ টাকা থেকে ১৯০ টাকা ও দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা থেকে ১৬০ টাকা। আদা মানভেদে ৬০ থেকে ১০০ টাকা কেজিপ্রতি পাওয়া যাচ্ছে। তবে টিসিবির তথ্য অনুসারে, পেয়াজ রসুনের দাম কমেছে বলে বলা হয়েছে।

তাছাড়া খোলা হলুদ ১৬০ থেকে ২০০, শুকনা মরিচ ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, জিরা ৩৮০ থেকে ৪২০ টাকা, দারুচিনি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, লবঙ্গ ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা, এলাচ ১২০০ থেকে ১৬০০ টাকা, ধনে ১২০ থেকে ১৫০, তেজপাতা ১৩০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

চলতি সপ্তাহে চালের বাজারে তেমন কোনো পার্থক্য দেখা যায়নি। মিনিকেট চাল মানভেদে কেজিপ্রতি ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা, নাজিরশাইল ৪০ থেকে ৪৮, পাইজাম ৪০ থেকে ৪৫, সাধারণ মোটা চাল ৩৬ থেকে ৩৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পোলাওয়ের চাল বিক্রি হচ্ছে মানভেদে কেজিপ্রতি ১০০ থেকে ১৩০ টাকা দরে।

এ সপ্তাহেও প্রায় একই দামে বিক্রি হচ্ছে ডাল জাতীয় পণ্য। দেশি মসুরের ডাল ১৩৫ থেকে ১৪৫, আমদানিকৃত তুরস্ক ও কানাডার বড় দানার মসুরের ডাল ১০০ থেকে ১১০ টাকা, তুরস্ক ও কানাডার মাঝারি দানার মসুরের ডাল ১১০ থেকে ১২০, অস্ট্রেলিয়ার ছোট দানার মসুর ১১০ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মুগ ডাল মান ভেদে ১০০ থেকে ১১০ টাকা, অ্যাংকর ডাল ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে।

এ সপ্তাহে তেলের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। মানভেদে সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৮৪ থেকে ৮৭ টাকা, বোতলজাত সয়াবিন তেল ৯৭ থেকে ১০০ টাকা, লুজ পাম ওয়েল ৭০ থেকে ৭২, পাম ওয়েল সুপার ৭২ থেকে ৭৪ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

মানভেদে আটা বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩৪ টাকা ও ময়দা ৩৪ থেকে ৪২ টাকা দরে কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে। এদিকে চিনি বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৬৮ থেকে ৭২ টাকা, লবণ প্যাকেট মানভেদে প্রতি কেজি ২৫ থেকে ৩৮ টাকা, গুড়া দুধ ডানো ৫৫০ থেকে ৫৭০, ডিপ্লোমা ৫৪০ থেকে ৫৬০, ফ্রেশ ৪২০ থেকে ৪৫০, মার্কস ৪২০ থেকে ৪৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ডিমের দাম কিছুটা কমতে দেখা গেছে। ফার্মের মুরগির ডিম হালি প্রতি ৩০ থেকে ৩২ ও হাসের ডিম ৪০ থেকে ৪৪ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

ব্রয়লার মুরগির দাম সামান্য কমা ছাড়া অনান্য মাংসের বাজারে এ সপ্তাহে পরিবর্তন দেখা যায়নি। এ সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগী বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা; যা গত সপ্তাহের তুলনায় ২ থেকে ৫ টাকা হারে কেজি প্রতি কমেছে। এছাড়া লেয়ার ১৮০ থেকে ২০০টাকা, দেশি মুরগি ৩৫০ থেকে ৪০০ টাতা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া গরুর মাংস কেজি প্রতি ৪২০ থেকে ৪৪০ টাকা, খাসির মাংস ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।