দেশজুড়ে
না ফেরার দেশে সাবেক প্রতিমন্ত্রী জিয়াউল হক জিয়া
তিনি কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে বেশ কয়েকদিন যাবত আইসিউতে ভর্তি ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রি, ১ ছেলে ও ১ মেয়েসহ অসংখ্যগুণগ্রাহী রেখে যান। এদিকে তার মৃত্যুর খবরে রামগঞ্জে আত্মীয়-স্বজন ও নেতাকর্মীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে।
স্ত্রী নাসিমা হক জিয়াউল হকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কয়েক বছর ধরেই শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। দুই বছর আগে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার শরীরে কোলন ক্যান্সার ধরা পড়ে। এরপর থেকে তিনি বেশির ভাগ সময় বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। নিজ বাড়িতে বসে কোরবানি দেয়ার বিশেষ আগ্রহে তাকে (জিয়াউল হক জিয়া) গত কোরবান ঈদের আগে দেশে আনা হয়েছিল। দেশে আসার পর হঠাৎ করেই তার শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। তাই ঈদের আগেই তাকে ব্যাংক বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে ফিরিয়ে নেয়া হয়। ছেলে মুশফিকুল হক জয় তাঁর সঙ্গে ব্যাংককে আছেন বলে জানান তিনি। জানাযার সময় পরবর্তিতে জানিয়ে দেয়া হবে বলে আত্মীয়স্বজন কর্তৃক জানানো হয়।
উল্লেখ্য, জিয়াউল হক জিয়া ১৯৫৩ সালের ১১ই মার্চ লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার ভাদুর ইউনিয়নের কেতুড়ি গ্রামের মুসলিম সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৮৬ সালে বিএনপিতে যোগ দেন। বিএনপি’র প্রার্থী হিসেবে তিনি লক্ষ্মীপুর-১ আসন থেকে তিনবার এমপি নির্বাচিত হন এবং তিনি চারদলীয় জোট সরকারের সাবেক এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।