Connect with us

ঢাকা বিভাগ

সালথায় মাঠ থেকে যুবকের রক্তমাখা লাশ উদ্ধার

Published

on

saltha-lash-picআবু নাসের হুসাইন, সালথা,ফরিদপুর প্রতিনিধি :
ফরিদপুরের সালথায় শামীম মাতুব্বার (২৮) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের বারখাদিয়া গ্রামের কয়ারধোপ মাঠে থেকে সালথা থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ফরিদপুর মর্গে পাঠিয়েছেন। শামীম ঐ ইউনিয়নের ইউসুফদিয়া ইজারাপাড়া গ্রামের মৃত হালিম মাতুব্বারের ছেলে।

স্থানীয় ভাবে জানা যায়, গ্রাম্য দলাদলী নিয়ে শামীম মাতুব্বারের পরিবারের সাথে একই গ্রামের প্রতিপক্ষ এনায়েত হোসেনের দলের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। শামীমের চাচাতো ভাই সোহরাফ মেম্বার কয়েক মাস আগে এনায়েত হোসেনের দল থেকে বের হয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ওয়াহিদুজ্জামানের দলে যোগদান করেন। নিহতের মেজভাই আমীর মাতুব্বার জানান, শুক্রবার রাতে শামীম ও সে টিলার দিয়ে জমি চাষ করছিলেন। রাত আনুমানিক ১২ টার দিকে আমীর- শামীমকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। এদিকে এই রাতে এনায়েত হোসেনের বাড়িতে তার দলীয় মিটিং হয়। শনিবার সকালে বারখাদিয়া কয়ারধোপে শামীমের গলায় দাগ, মূখে রক্তমাখা অবস্থায় তার লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) মোঃ শামচুল হক পিপিএম সহ সালথা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শামীমের লাশ উদ্ধার করেন। এসময় নিহতের হাত থেকে একটি জামা উদ্ধার করা হয়।

সোহরাফ মেম্বার বলেন, শামীম নম্র-ভদ্র ছেলে ছিলো। কোন দিন কারো সাথে ঝগড়া করতো না। স্ত্রী রোজিনা আক্তার ও ৫ মাসের এক কন্যা সন্তান নিয়ে ভালই চলছিলো ওর সংসার। ওকে পরিকল্পিতভাবে হাতুরি পিটিয়ে, গলায় ফাঁশ দিয়ে যারা হত্যা করেছে, তাদের গায়ের জামা পাওয়া গেছে। জামাটার জন্যই আমরা হত্যাকারীদের চিনে ফেলেছি। আইনের মাধ্যমে এর ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

এব্যাপারে প্রতিপক্ষ দলের ইজারাপাড়ার কাউকে এলাকায় পাওয়া যায়নি। রাতে থেকেই সবাই পলাতক রয়েছে।

সালথা থানার এস.আই জিল্লুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে সার্কেল স্যারের উপস্থিতে ঘটনাস্থল থেকে মূখে রক্তমাখা অবস্থায় শামীমের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের হাত থেকে একটি জামা উদ্ধার করা হয়েছে। এবিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *