Connect with us

ঢাকা বিভাগ

ফরিদপুর বিআর টিএ অফিস, দালাল তুহিন ও মটরযান পরিদর্শকের দূর্নীতির আখড়া, দালালদের মধ্যে উত্তেজনা।

Published

on

dscf6188ফরিদপুর থেকে মোঃ খালেদুর রহমান ঃ ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের কার্য়ালয়ের বিআর টিএ অফিসটি দালাল তুহিন ও এই অফিসের মটরযান পরিদর্শকের দূর্নীতির আখড়ায় পরিনত হয়েছে। অবস্থা এ পর্যায়ে পৌছেছে যে যে কোন সময়ে দালালদের দুগ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধার সম্ভবনা রয়েছে।
একাধিক সুত্রে জানা যায় , ফরিদপুর বিআর টিএ অফিসে মটরযান পরিদর্শক হিসাবে কর্মরত আছেন মোঃ সাইফুল ইসলাম ,অফিসটির প্রধান এডি (সহকারী পরিচালক) হলেও অধিকাংশ কাজ এই পরিদর্শকের মাধ্যমেই হয়। বিভিন্ন প্রকার কাজ সংগ্রহের নামে তার রয়েছে ১৫-২০ জনের দালাল বাহিনী। এদের মধ্যে আবার দুটি গ্রুপ বিদ্যমান। একটি গ্রুপ মোঃ সাইফুল ইসলামের আর্শীবাদ পুষ্ঠ অফিসে তাদের চেয়ার টেবিলেরও ব্যবস্থা আছে। এই গ্রুপের প্রধান তুহিন তিনি ড্রাইভিং লাই¯েœস এর বিষয় দেখেন। লাই¯েœস ফি ২০২০ টাকা হলেও তিনি সময় ও পরিস্থিতি দেখিয়ে প্রতি জনের নিকট থেকে ২০ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা আদায় করেন বলে অভিযোগ করেন অনেক ভুক্তভোগী। অনেকে আবার টাকা দিয়ে ঘুরছে মাসের পর মাস। অন্য দালালদেরও তোয়াজ করতে হয় এই তুহিনকে। এভাবে বেলাল দেখেন গাড়ির ফিটনেস ও রুট পারমিটের বিষয়,লিমন মটর সাইকেল রেজিঃ এর দ্বায়িত্বে এভাবে সহিদ,রানা পলাশকে বিভিন্ন কাজ দিয়ে রেখেছেন পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম।এদের প্রত্যেকেই সাইফুলের ছত্রছায়ায় থেকে সরকারী ফির দশ বার গুন টাকা আদায় করেন সাধারন জনগনের নিকট থেকে।এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেও কোন লাভ হয় না।কারন বাড়তি টাকার একটি অংশ পান এ অফিসের কর্মকর্তাগন। এ ছাড়াও রয়েছে লাভলু , মেহেদী হাসান,পলাশ নামের কয়েক দালাল।ফরিদপুর বিআর টিএ অফিসে উড়ছে টাকা আর তা ধরার জন্য দালালরা বেপরোয়া। এই নিয়ে গত ২২-১১-১৬ ইং তারিখ মঙ্গলবার অফিসের সামনে দালাল লাভলু ও লিমনের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি পরে চরম উত্তেজনা দেখা দেয় তাৎক্ষনিক ভাবে পরিস্থিতি শান্ত হলেও যে কোন মুহুর্তে সংঘর্ষ বাধার সম্ভবনা রয়েছে বলে জানা যায়।
সরকারী অফিসে চেয়ার টেবিল ল্যাবটপ নিয়ে বসার অনুমতি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে দালাল তুহিন বলেন তাকে মটরযান পরিদর্শক অনুমতি দিয়েছে ।এ ব্যাপারে অফিসের মটরযান পরিদর্শক মোঃ সাইফুল ইসলামের সাথে কথা বলে জানা যায় ,তিনি তুহিনকে অনুমতি দেননি। ভুক্ত ভোগী সাহিদ,সেলিম,ুজ্জামান বলেন আসলে বিআর টিএ অফিসে কে অফিসার কে দালাল কিছুই বুঝতে পারি না।এখানে এসে প্রতারিত হয়নি এমন মানুষ পাওয়া ভার। তাই জনমনে প্রশ্ন সাইফুল তুহিনের গোলকধাধায় কি আটকে থাকবে ফরিদপুর বিআর টিএ অফিস। কতৃপক্ষ এ ব্যাপারে এখননি জোড়াল ভুমিকা পালন না করলে এ অফিসে ঘোর অন্ধকার নেমে আসবে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *