Connect with us

ফিচার

নবাবগঞ্জে থাই পেয়ারা চাষ করে সাবেক সেনাসদস্য কোটি পতি হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন

Published

on


এম রুহুল আমিন প্রধান, নবাবগঞ্জ: দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার সাবেক সেনাসদস্য জহিরুল ইসলাম উপজেলার কৃষি অধিদপ্তরের পরামর্শে ও প্রযুক্তিভিত্তিক প্রশিক্ষণ নিয়ে থাই পেয়ারা চাষ করে কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। জহিরুলের ফলের বাগান দেখে এলাকার শত শত উদ্যমী যুবকেরা থাই পেয়ারা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে। জয়পুর ইউনিয়নের পুলবান্ধা গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা মোঃ জহিরুল ইসলাম ২০০৭ সালে সেনাবাহিনীর কর্পোরাল পদ থেকে অবসর নেয়ার পর ধান-চাউলের ব্যবসা শুরু করেন। ব্যবসায় লোকসানে দিশেহারা হয়ে ঝুকে পড়েন কৃষিতে। ২০০৯ সালে নিজের ১১বিঘা ও অন্যের ১৭ বিঘাসহ মোট ২৮ বিঘা জমিতে গড়ে তুলেছেন থাই পেয়ারার বাগান। চারা লাগানোর ৬ মাস পর থেকেই বাগানে পেয়ারা ধরতে শুরু করে। সাড়ে চার হাজার পেয়ারা গাছের সবগুলোতেই ব্যাপকহারে পেয়ারা ধরেছে। ইত্যোমধ্যে বাগান থেকে ৬৩ লক্ষ টাকার বিভিন্ন প্রকার ফল বিক্রি করে এলাকায় সফল বাগান মালিক হিসেবে সুনাম অর্জন করেছেন তিনি। পেয়ারা বাগানের নাম দিয়েছেন ওয়াসী গ্রীন এগ্রিকালচারাল জোন। পেয়ারা গাছের ফাঁকে ফাঁকে পরীক্ষামূলকভাবে কয়েকটি সফেদা ও মাল্টা গাছের চারা রোপণ করেছেন। বর্তমান সেগুলোতে ফল এসেছে। এদিকে জহিরুল ইসলামের সাফল্য দেখে এলাকার অনেকেই পেয়ারা বাগানের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন। জহিরুল ইসলাম বলেন, তার বাগানের পেয়ারা ওজন ৮০০গ্রাম থেকে এক কেজি পর্যন্ত। ফুল থেকে গুটি হলেই প্রতিটি পেয়ারা স্বচ্ছ পলিথিন দিয়ে মুড়িয়ে দেওয়া হয়। এই ব্যাগিং পদ্ধতির কারণে গাছে কীটনাশক প্রয়োগ করলেও পেয়ারা থাকে বিষমুক্ত। দেখতে সুন্দর পেয়ারার স্বাদও মিষ্ট। বাগান থেকেই ৫০ টাকা কেজি দরে পেয়ারা কিনে নেন রাজধানী ঢাকার কাওরান বাজার, খিলগাঁও, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের পাইকারি ব্যবসায়ীরা। এ বছর বাগানের পেয়ারা অন্তত কোটি টাকায় বিক্রি হবে বলে আশা করছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু রেজা মোঃ আাসাদুজ্জামান বলেন, জহিরুল ইসলামের পেয়ারা বাগানের সাফল্য দেখে এলাকার অন্যান্য এলাকাতেও গড়ে উঠতে শুরু করেছে পেয়ারা বাগান। এলাকার মাটি ফল বাগানের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। এখানকার উৎপাদিত ফল সুস্বাদু এবং দেশের সব স্থানেই চাহিদা থাকায় লোকসানের ঝুকি কম। ফল চাষের বিষয়ে কৃষি বিভাগ থেকে সার্বিক সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *