কুড়িগ্রাম
রৌমারীর চরাঞ্চলের কৃষকদের কাছে জনপ্রিয় হচ্ছে মিশ্র ফসলের চাষ
বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে জমিতে একই সঙ্গে সাত ধরনের ফসল চাষে সাফল্য অর্জন করছে। সমতল ভূমিতে ইরি-বোরো চাষ করা হলেও অসমতল ও বালি মাটিতে চাষ করা হচ্ছে নানা জাতীয় রবিশস্য।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে সোনাপুর, ঘুঘুমারী, ফলুয়ার চর, বলদমারা,বাগুয়ারচর চর, বাঘমারাচর, চর গয়টাপাড়া, চর লাঠিয়ালডাঙ্গায় অর্ধশত একর জমিতে চাষ করা হয়েছে সাত মিশালী ফসল।
লাঠিয়াল ডাঙ্গার মনোহার, শরিফ উদ্দিন, বিয়াজল, ও ইজ্জত আলী জানান, আমাদের চরাঞ্চলের জমি অসমতল ও বালির পরিমাণ বেশি হওয়ায় ইরি-বোরোর পরিবর্তে একই জমিতে একই সঙ্গে ৬/৭ প্রকার ফসল চাষে করন লাভবান হয়েছেন। শুরুতেই আখ চাষের জন্য জমি তৈরী করেন। পরে ওই জমিতে লালশাক, পাট, কলমি শাক, চাষ করেন। এসব সবজি রোপনের ১৫ দিন পর সারিবদ্ধ ভাবে বাদাম, মরিচ, ঢেড়স, ও পুইশাক বীজ রোপন করেন। এক মাসের মধ্যে সবজি বাজারে বিক্রি করা হয়।
বাকি সাতটি ফসলের মধ্যে বাদাম, বেগুন, মরিচ, ঢেড়স, ও পুইশাক মাসের অধিক সময়কাল ধরে বাজারজাত করে প্রচুর অর্থ আয় করেন কৃষকরা। অবশিষ্ট থাকে আঁখ। আখের গাছ উপযুক্ত হওয়ার আগেই বাদাম ও সবজি জাতীয় ফসল উঠে যায়। আখঁ ক্ষেতে এসব সবজি চাষ করায় জমির পরিচর্যা ভালো হয়। ফলে আখের ফলনও বেশি হয়। কঠোর পরিশ্রমে একই জমিতে বহু জাতীয় ফসল চাষে রৌমারী কৃষকরা ব্যাপক লাভবান হয়েছেন।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো: আবুল হাশেম বলেন চরাঞ্চলের জমি অসমতল ও বালির পরিমাণ বেশি হওয়ায় ইরি-বোরোর পরিবর্তে মিশ্র ফসলে চাষে করা জন্য আমি সরেজমিনে গিয়ে জমিন দেখে মিশ্র ফসলে চাষ করার জন্য কৃষকদের নিয়মত পরার্মাশ প্রদান করছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: আজিজল হক বলেন চরাঞ্চলের জমিতে কৃষকরা মিশ্র ফসলের চাষ করে লাভবান হচ্ছে। আমরা আখের সাথে বাদাম, বেগুন, মরিচ, ঢেড়স, ও পুইশাক, লালশাক, পাট, কলমি শাক চাষ করা জন্য কৃষকদের উৎসাহিত করছি।