জাতীয়
ভূমিকম্পে দ্বিতীয় দফায় মধ্যরাতে কেঁপে ওঠে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ সময় বুধবার রাত ১২টা ৪৯ মিনিটে হওয়া ৫ দশমিক ১ মাত্রার এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল মায়ানমারের মাওলাইক এলাকার ৩৮ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বলে ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের ওয়েবসাইটে দেখানো হয়েছে।
ভূ-পৃষ্ঠ থেকে উৎপত্তিস্থলের গভীরতা ছিল ৯৩.২ কিলোমিটার।
এর আগে মঙ্গলবার বিকাল ৩টা ৯ মিনিট ২ সেকেন্ডে অনুভূত হওয়া ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র ছিল ভারতের ত্রিপুরার আম্বাসা এলাকায়, ভূপৃষ্ঠের ৩৬ কিলোমিটার গভীরে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৫।
মঙ্গলবার বিকেলে অফিস-আদালত ছুটির ঘণ্টা দুই আগে রাজধানীর ভবনগুলো ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলে আতঙ্ক তৈরি হয়। অনেকেই ভবন ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন।
পূর্ব ও দক্ষিণের সিলেট, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম অঞ্চল ছাড়াও মধ্য ও উত্তরের অধিকাংশ জেলায় ওই ভূমিকম্প অনুভূত হয় বলে আমাদের প্রতিনিধিরা জানান।
এতে আতঙ্কে সুনামগঞ্জে দুজনের মৃত্যু এবং সিলেটসহ কয়েকটি এলাকায় আরো কয়েকজনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় ভূমি ও ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে।
ভূমিকম্পের সময় ত্রিপুরায় আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে এক নারীর মৃত্যু এবং চারজন আহত হয়েছে। এছাড়া কয়েকটি স্থানে ভূমিধস ঘটে।
তবে বাংলাদেশ সময় মধ্যরাতে মায়ানমারের ভূমিকম্পে দেশের কোথাও বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। বিডিপত্র/আমিরুল