Connect with us

আন্তর্জাতিক

 ইয়েমেনে শরণার্থী শিবিরে সৌদি বিমান হামলায় নিহত ৪০

Published

on

_82012827_airstrikesআন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ইয়েমেনের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত এক শরণার্থী শিবিরে সৌদি বিমান হামলায় নারী শিশুসহ অন্তত ৪০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। সোমবার (৩০ মার্চ) সৌদি আরবের সীমান্তবর্তী ইয়েমেনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় হাজ্জাহ প্রদেশে অবস্থিত আল-মাযরাক শরণার্থী শিবিরে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হুথি বিদ্রোহীদের দাবি সৌদি নেতৃত্বাধীন উপসাগরীয় দেশগুলোর যুদ্ধবিমান এ হামলা চালিয়েছে। তবে উপসাগরীয় যৌথবাহিনীর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে ইয়েমেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ ইয়াসিন বলেছেন, হুথিরা কামানের গোলাবর্ষণের মাধ্যমে এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। তবে ডকটর্স উইদাউট বর্ডার নামের একটি আন্তর্জাতিক এনজিওর কর্মকর্তা পাবলো মারকো এই হামলাকে একটি বিমান হামলা বলে উল্লেখ করেন। তবে হামলা কিভাবে হলো তার কোনো কারণ এখনো জানা যায়নি উল্লেখ করে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) এর মুখপাত্র বাবর বালুচ বলেছেন, শরণার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা চিন্তিত। এদিকে সৌদি নেতৃত্বাধীন যৌথ বাহিনীর মুখপাত্র আহমেদ আল-আসিরি বলেছেন, খুব সম্ভবত ভূমি থেকে তাদের জঙ্গি বিমান লক্ষ্য করে হামলার জবাব দিতেই এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে আমরা জানতাম না সেটা একটা শরণার্থী শিবির। গত ২৫ মার্চ হুথি বিদ্রোহীদের দমনে ইয়েমেনে সৌদি আরবের নেতৃত্বে উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলো সামরিক অভিযান শুরু করে। জাতিসংঘ ও গালফ কাউন্সিলভুক্ত উপসাগরীয় ছয় দেশ- সৌদি আরব, বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে হুথিদের দমনে ইয়েমেন সরকারের ‘হস্তক্ষেপ‘ কামনার প্রেক্ষিতে এ হামলা শুরু করা হয় বলে সে সময় সৌদি আরব জানায়। যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত আদেল আল-জুবেইর সেসময় সংবাদমাধ্যমকে জানান, ইয়েমেন প্রেসিডেন্ট আব্দ রাব্বু মনসুর হাদির বৈধ সরকার ও তার জনগণকে রক্ষায় সৌদি আরব সেখানে সেনা অভিযান শুরু করেছে। এর আগে ইরানি পৃষ্ঠপোষকতাপুষ্ট শিয়া হুথি বিদ্রোহীরা সম্প্রতি ইয়েমেনের রাজধানী সানাসহ বেশ কিছু অঞ্চল দখল করে দেশটির প্রেসিডেন্ট মনসুর হাদিকে সানা থেকে পালিয়ে বন্দর নগরী এডেনে চলে যেতে বাধ্য করে। আনসার আল্লাহ বা হুথি বিদ্রোহীরা ইয়েমেনে একটি জায়দি সম্প্রদায়ভুক্ত শিয়া সংগঠন। জায়দি শিয়ারা হযরত হোসেনের (রা.) দৌহিত্র জায়দ ইবনে আলির অনুসারী। সংগঠনটির নামকরণ করা হয় হুসেইন বদরেদ্দিন আল-হুথির নাম থেকে। ২০০৪ সালে ইয়েমেনে দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ে নিহত হন তিনি। তাকেই নিজেদের আধ্যাত্মিক নেতা মনে করে হুথিরা।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *