Connect with us

জাতীয়

বড়পুকুরিয়া দুর্নীতি: খালেদাকে ১৩ এপ্রিল আদালতে হাজিরের নির্দেশ

Published

on

নিজস্ব প্রতিবেদক:  বড়পুকুরিয়া দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে আগামী ১৩ এপ্রিল আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ (সোমবার) সকালে ঢাকার বিশেষ জজ-২ আদালতের বিচারক হোসনে আরা বেগম এ আদেশ দেন।
মামলাটি কার্যক্রম স্থগিতে হাইকোর্টের আদেশনামা দাখিলের দিন ধার্য ছিল সোমবার। খালেদা জিয়ার আইনজীবী এ্যাডভোকেট সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবা হাইহোর্টের আদেশনামা দাখিলের জন্য সময়ের আবেদন করেন। অন্যদিকে দুদকের আইনজীবী মামলাটি সচলের আবেদন করেন।

আদালত উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ১৩ এপ্রিল বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল আসামিকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। এদিকে, বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুদকের দায়ের করা বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি মামলা বাতিল প্রশ্নে জারি করা রুলের ওপর রায় দিতে ৫ এপ্রিল পুনরায় দিন ধার্য করেছে হাইকোর্ট।

রোববার বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ দিন ধার্য করেন। একইসঙ্গে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রুলের শুনানি শেষ করতে খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এর আগে গত ৮ মার্চ ওই আইনজীবীদের আবেদনের প্রেক্ষিতেই রোববার আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছিলেন আদালত।

সেনা সমর্থিত জরুরি অবস্থার সময়ে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা দায়ের করে। শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম। মামলায় মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতি হয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির অনুমোদন দিয়ে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়েছিল। এতে চারদলীয় জোট সরকারের স্থানীয় সরকার, সমবায় ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রী আবদুল মান্নান ভূঁইয়া (মরহুম), অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান (মরহুম), শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, তথ্যমন্ত্রী শামসুল ইসলাম, কৃষিমন্ত্রী এম কে আনোয়ার, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদসহ ১৬ জনকে আসামি করা হয়েছিল। পরে এ মামলা দায়েরের বৈধতা চ্যালেঞ্জ হাইকোর্টে রিট করেন খালেদা জিয়া। ২০০৮ সালের ১৬ অক্টোবর বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দসৱগীর হোসেন ও বিচারপতি ফরিদ আহাম্মদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি মামলার কার্যক্রম তিন মাস স্থগিত করেন। একই সঙ্গে মামলা দায়ের ও কার্যক্রম কেন অবৈধ ও বেআইনি হবে না জানতে চেয়ে সরকারকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেন। পরে সময়ে সময়ে মামলার স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ানো হয়। এ মামলায় স্থায়ী জামিনে রয়েছেন খালেদা জিয়া।
কনসোর্টিয়াম অব চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইম্পোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনকে (সিএমসি) বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির অনুমোদন দিয়ে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতির অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন দুদকের উপ-পরিচালক শামসুল আলম। একই বছরের ৫ অক্টোবর আদালতে এ মামলার চার্জশিট দেওয়া হয়। মামলার অভিযোগে বলা হয়, কয়লা উত্তোলনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা সিএমসির সঙ্গে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রৰণাবেৰণ চুক্তি করায় সরকারের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
তোফাজ্জল হোসেন

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *