আন্তর্জাতিক
জুলহাজ হত্যাকান্ড: পরিবারকে ওবামার চিঠি
মার্কিন প্রেসিডেন্ট চিঠিতে লিখেছেন, “জুলহাজের মৃত্যুতে মিশেল ও আমি আপনাদের দুঃখ ও বিষাদের অংশীদার। আমরা অন্তরের অন্তস্তল থেকে শোক প্রকাশ করছি। জুলহাজকে হারিয়ে আপনাদের যে বেদনা তা বর্ণনাতীত। সারা বাংলাদেশে একটি অধিকতর ন্যায়সংগত ও সমতাভিত্তিক ভবিষ্যৎ গড়ায় অঙ্গীকারবদ্ধ ছিলেন জুলহাজ। আর সে কাজেই তিনি নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। যারা তাকে চিনতেন ও ভালোবাসতেন এবং পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষায় তার কাজ যাদের উজ্জীবিত করেছে, তাদের মাঝে জুলহাজের কীর্তি রয়ে যাবে। জুলহাজের সাহস, অন্যের জন্য তার সহানুভূতি চির জাগরূক হয়ে থাকবে- এটুকু জেনে অন্তত আপনারা সান্ত্বনা খুঁজে নেবেন। এই চরম দুঃসময়ে আমি আপনাদের পাশে আছি।”
মিনহাজ মান্নান গণমাধ্যমকে বলেন, “চিঠিটি ওবামা স্বাক্ষর করেছেন গত ৫ মে। তবে আজ সকালে ইউএসএআইডি কার্যালয়ে চিঠিটি আমার হাতে তুলে দেয়া হয়।”
জুলহাজ মান্নান ইউএসএআইডির কর্মকর্তা ছিলেন। মাহবুব রাব্বী তনয় ছিলেন থিয়েটারকর্মী। সমকামীদের অধিকার নিয়ে রূপবান নামের একটি পত্রিকা প্রকাশ করতেন জুলহাজ। হত্যাকাণ্ডের এক দিন পর দায় স্বীকার করে আনসার আল ইসলাম বিবৃতি দেয়।
এদিকে জুলহাজ মান্নান ও মাহবুব রাব্বী হত্যাকাণ্ডের তদন্তে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই। বুধবার পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নিয়েছে এমন কাউকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। গত ১৫ মে পুলিশ কুষ্টিয়া থেকে শরিফুল ইসলাম শিহাব নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে এই মামলার সূত্রে। সংবাদ সম্মেলনে শরিফুলের গ্রেফতারকে পুলিশ তদন্তে ‘মেজর ব্রেক থ্রু’ (বড় ধরনের অগ্রগতি) বলেও দাবি করে।
পুলিশ জানায়, হত্যাকাণ্ডের কোনো না-কোনো পর্বে শরিফুল অংশ নিয়েছে। কলাবাগান হত্যাকাণ্ডে তার ব্যবহৃত একটি অস্ত্রও ব্যবহার করা হয়েছে। ওই সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ হত্যাকাণ্ডে জড়িত কমপক্ষে ৩ জনকে শনাক্ত করার কথাও জানায়। তবে গত মঙ্গলবার পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় আর কোনো গ্রেফতার নেই।