Connect with us

বিবিধ

দুঃসময়রে বন্ধুই প্রকৃত বন্ধু

Published

on

it-2রকমারি ডেস্ক:
ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়েছে ব্যাপকহারে। ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়ছে শিশুদের ভাইরাসঘটিত জ্বর, চলতি ভাষায় যাকে বলা হয় ভাইরাল ফিভার। ভাইরাস সংক্রমণ থেকে এই নাম না হওয়া জ্বর হয় বলেই এই নাম। কোনো এক ধরনের ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটলেই শিশুদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে এই সংক্রমণ।

ভাইরাস সংক্রমণ থেকে জ্বরের লক্ষণ

– ২ দিন থেকে ৭ দিন পর্যন্ত চলতে পারে এই জ্বর।

– শরীরের তাপমাত্রা বেশ খানিকটা বাড়িয়ে দিতে পারে। ১০২-১০৩ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত জ্বর ওঠা অস্বাভাবিক নয়।

– জ্বরের সঙ্গে থাকে অসহ্য মাথাব্যথা।

– বেশিরভাগ সময়ই জ্বরের সঙ্গে সর্দি, কাশি থাকে।

– বিশেষ ক্ষেত্রে জ্বরের সঙ্গে পেটব্যথা, বমি, ডায়রিয়া দেখা দিতে পারে।

– গায়ে, হাত, পায়ে অসহনীয় ব্যথা।

– গলায় ব্যথা।

– যদি দীর্ঘ দিন ধরে জ্বর চলতে থাকে।

– জ্বরের প্রকোপে যদি শিশু অজ্ঞান হয়ে যায়।

– যদি খিঁচুনি দেখা দেয়।

কী করে রক্ষা পাওয়া যাবে ভাইরাসঘটিত জ্বর থেকে
– ঋতু পরিবর্তনের সময় একটু সাবধানে রাখতে হবে শিশুদের যাতে হঠাৎ ঠাণ্ডা লেগে জ্বর না হয়।

– ফাস্ট ফুড বিশেষ করে চিপস, বার্গার জাতীয় খাবার শিশুদের খেতে না দেওয়া।

– ভাইরাস থেকে জ্বর হয়েছে এমন রোগী বা অন্য কোনো রোগে অসুস্থ রোগীর সংস্পর্শ বাঁচিয়ে চলা।

ভাইরাসঘটিত জ্বর হলে
– নিয়মিত জীবনযাত্রা থেকে খুব একটা সরে আসার প্রয়োজন নেই। তবে কয়েকটা দিন স্কুলে না গিয়ে বাড়িতে বিশ্রাম নেওয়াই ভালো।

– গোসল বন্ধ রাখবেন না। উষ্ণ পানিতে গোসল করিয়ে দিন।

– খাবারদাবার হওয়া উচিত পুষ্টিকর এবং হালকা। এ সময় বাইরের খাবার একেবারেই খাওয়াবেন না।

– সর্দি, কাশি, গলাব্যথা হলে সকাল-বিকাল গরম চায়ের লিকার খাওয়াতে পারেন।

– জ্বর কমানোর জন্য প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খাওয়াতে পারেন। তবে ডাক্তারের পরামর্শ না নিয়ে অ্যান্টিবায়োটিক একেবারেই খাওয়াবেন না।

– যদি বমি এবং ডায়রিয়া দেখা দেয় তাহলে ওরস্যালাইন তৈরি করে শিশুকে বারবার খাওয়াতে পারেন।

– শিশুকে যতটা পারেন আরামে রাখুন এই সময়ে। ঠিকঠাক মতো বিশ্রাম নিতে পারলে জ্বর তাড়াতাড়ি সেরে যাবে।

কয়েকটি সতর্কতা
– ঋতু পরিবর্তনের সময় খুব ছোট বাচ্চাদের ঠাণ্ডা লেগে যাওয়ার প্রবণতা থাকে। বাবা-মায়েদের এই সময়ে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

– পেট খারাপ এড়াতে পানি অবশ্যই ফুটিয়ে খাওয়ান।

– ছোট বাচ্চার দুধের বোতল, বাটি, চামচ অবশ্যই প্রতিদিন স্টেরিলাইজ করবেন।

– গোসলের পর শিশু যেন কোনোভাবেই ভেজা গায়ে না থাকে। ভালো করে গা, মাথা মুছিয়ে দিতে ভুলবেন না।

– অযথা বৃষ্টিতে ভিজতে দেবেন না। আর যদি কোনো কারণে ভিজেই যায় তাহলে বাড়ি ফিরেই শুকনো করে মাথা, গা, হাত, পা মুছে দিয়ে গরম স্যুপ জাতীয় কিছু খাইয়ে দিন।

– বাইরে থেকে ফেরার পর অ্যান্টিসেপটিক মেশানো পানিতে হাত-পা ধুইয়ে দিন।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *