গাইবান্ধা
পানির অভাবে পাট পঁচাতে পারছেনা পলাশবাড়ি ও গোবিন্দগঞ্জের কৃষকরা
নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা: গাইবান্ধার পলাশবাড়ি ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কৃষকরা পানির অভাবে পাট পচাতে পারছে না। তীব্র খরায় পানি শুকিয়ে জাগ উঁচুতে পড়েছে। আবার অনেকেই হাঁটু পানিতে জাগ দিয়ে পাট পঁচানোর চেষ্টা করছে। এতে পাটের গুনগত মান নষ্ট হওয়ায় দাম কম পাওয়ার আশংকায় বিপাকে পড়েছে কৃষকরা।
পলাশবাড়ী উপজেলার রামপুরা গ্রামের কৃষক চাঁন মিয়া জানান, এ এলাকা বন্যা মুক্ত হওয়ায় পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। মাঝে মধ্যে বৃষ্টির দেখা মিললেও তা চাহিদার তুলনায় একেবারেই কম। যে পরিমান বৃষ্টি হয়, তা মাটির সাথে চুষে নেয়। আশপাশের খাল বিল এমনকি কোথাও জমানো পানি নেই। পানির অভাবে পাট পচাতে পারছিনা।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামারদহ ইউনিয়নের আমজাদ হোসেন ও শাখাহার ইউনিয়নের আয়াত আলী জানান, তিনি কিছুদিন আগে জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে পাটের জাগ দেয়। কিন্তু প্রচন্ড খরায় পানি শুকিয়ে যাওয়ায় পাটের জাগ উচাতে পড়েছে। তীব্র খরায় খাল বিলের পানি শুকিয়ে যাওয়ায় পাট পচানো যাচ্ছেনা। এমনকি পাট পচানোর বিকল্প কোন পদ্ধতিও খুঁেজ পাওয়া যাচ্ছেনা। তারা আরও বলেন, অনেকে হাঁটু পানিতে পাট পচালেও পাটের সোনালী কালার নষ্ট হয়ে কালচে হচ্ছে। ফলে পাটের গুণাগুন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
গাইবান্ধা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রুহুল আমিন জানান, চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এবার পাট চাষ বেশী হয়েছে। জেলায় দেশি জাতের ৩শ’ ৩০ হেক্টর তোষা ও ১৩ হাজার ৮শ’ হেক্টর মোট ১৪ হাজার ১৩০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।