জাতীয়
পাষান শাশুড়ির আগুনে দগ্ধ গৃহবধূর মৃত্যু
সদর উপজেলার হিমায়েতপুর গ্রামে শাশুড়ির দেয়া আগুনে দুই সন্তানের জননী মুক্তি খাতুন (২৫) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। নয় ঘণ্টা মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে না ফেরার দেশে চলে গেলেন মুক্তি। পাবনা জেনারেল হাসপাতাল থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় নেয়ার পথে গত কাল দুপুর পৌনে ১২টার দিকে মারা যান তিনি। মুক্তি খাতুন পাবনা পৌর এলাকার নারায়ণপুর জামাইপাড়ার জসিম উদ্দিনের মেয়ে ও হিমায়েতপুর গ্রামের মহব্বত আলীর স্ত্রী।
পাবনা সদর থানার সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আরিফ হোসেন জানান, ৮-৯ বছর আগে মুক্তি খাতুনের সঙ্গে মহব্বত আলীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকজন মুক্তির ওপর অমানসিক নির্যতিন শুরু করে। শনিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে ঘুমন্ত অবস্থায় মুক্তির হাত পা ও মুখ বেঁধে গায়ে কেরোসিন ঢেলে দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন তারা শাশুড়ি। আগুনে তার শরীর ঝলসে গেছে। প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে দ্রুত পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। কিন্তু তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসকরা গত কাল সকাল ৮টার দিকে তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করেন। ঢাকা নেয়ার পথে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে তিনি মারা যান বলে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসানুল হক নিশ্চিত করেছেন।
নিহত গৃহবধূর পরশ (৬) ও আরশ (৪) নামে দুটি সন্তান রয়েছে। মুক্তির বাবা মনসুর আলী এ ঘটনার জন্য মুক্তির শ্বশুর-শাশুড়িকে দায়ী করছেন। ঘটনার পর থেকে মুক্তির শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছে। এ ব্যাপারে মুক্তির বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।