বিবিধ
মোটরসাইকেলের জ্বালানি খরচ কমাতে চান?
রকমারি ডেস্ক:
তরুণরা বাইক চালাতে ভালোবাসেন। শুরু তরুণরাই নয়, কর্মজীবীদের অনেকেরই পথের সঙ্গে মোটর বাইক। কিন্তু মোটরবাইকের জ্বালানি খরচ অত্যাধিক। সে কারণে অনেকেই বাইক কেনা থেকে বিরত থাকেন। কিংবা ঘরে বাইক থাকলেও খুব একটা দরকার না পড়লে সড়কে বের হন না। একটু সচেতন হয়ে বাইক চালালে জ্বালানি সাশ্রয় করা সম্ভব। আসুন জেনে নেই কি করে জ্বালানি সাশ্রয় করে আরামসে বাইক চালাবেন।
স্পার্ক প্লাগ পরিস্কার রাখুন
মোটর সাইকেলের ইঞ্জিনের জ্বালানির দহনের জন্য বৈদ্যুতিক সিস্টেম থেকে স্পার্ক তৈরি করে। এই স্পার্গ জ্বালানি পোড়ায়। এতে করে ইঞ্জিনের ভেতরের কম্পার্টমেন্ট ঘূর্ণন তৈরি হয়। প্রায়শই দেখা যায় প্লাগের কারণে মোটর সাইকেল বন্ধ হয়ে যায়। প্লাগে ময়লা জমলে এটা হয়। এজন্য নিয়মিত প্লাগ পরিস্কার রাখুন। এতে যেমন আপনার মোটর সাইকেল বন্ধ হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাবে তেমনি জ্বালানির সাশ্রয় হবে।
কার্বুরেটর পরিস্কার রাখুন
মোটরসাইকেলে কার্বুরেটর হল সেই যন্ত্র যা একটি অন্তঃদহ ইঞ্জিনে বায়ু ও জ্বালানির মিশ্রণ ঘটায় । কার্বুরেটর বায়ু চাপের পার্থক্যের উপর নির্ভর করে এর প্রধান কাজ অর্থাৎ বায়ু ও জ্বালানির মিশ্রণ ঘটানো। এই কার্বুরেটরে ময়লা জমলে ইঞ্জিনে তেল বেশি দহন হয়। ফলে জ্বালানির খরচটাও বেড়ে যায়। এই সমস্যার সমাধানে নিয়মিত দক্ষ মেকানিক্সের মাধ্যমে কার্বুরেটর পরিস্কার করুন।
সঠিক নিয়মে বাইক চালান
সঠিক নিয়মে মোটরসাইকেল চালালে জ্বালানি খরচ অনেকটাই কমে যায়। মোটরসাইকেল যত নিচের গিয়ারে চালাবেন ততই তেল বেশি পুড়বে। এজন্য বাইক স্ট্যার্ট করার পর গতি বাড়িয়ে যথাসম্ভব টপ গিয়ারে রাখুন। এতে জ্বালানি খরচ কম হবে। বাইক পাহাড় সেতু কিংবা উুঁচস্থানে ওঠার সময় ইঞ্জিনের সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করে। ফলে জ্বালানির অপচয় হয় । যখন বাইক উপরে গিয়ারের জন্য প্রস্তুত হবে যত দ্রুত সম্ভব গিয়ার উপরে তুলুন।
ধীরেসুস্থ্যে বাইক চালান
বাইক স্ট্যার্ট করলেই তেল খরচ হতে শুরু করে। আবার টপ গিয়ার থেকে ফাস্ট গিয়ারে আনলেও জ্বালানি খরচ বেশি হয়। এজন্য যথাসম্ভব একই গতিতে বাইক চালান। একে বলে মডারেট স্প্রিড। মোটর বাইকের স্পিডো মিটারে ইকোনমি স্প্রিড দেয়া আছে। এই ইকোনমি স্প্রিডে বাইক চালালে জ্বালানি খরচ কম হয়। রাস্তায় জ্যামে পড়লে ইঞ্জিন বন্ধ করে রাখুন। এতে জ্বালানি খরচ কমবে।
আস্তে আস্তে গতি তুলুন
মোটর বাইকের ইঞ্জিন যত ঘুরবে ততই পেট্রল পুড়বে। তাই ইঞ্জিন স্ট্যার্ট দিয়ে প্রথমে কিছু দূর ফাস্ট গিয়ারে চালান। তারপর গতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে একটা একটা করে গিয়ার পরিবর্তন করুন। হুটহাট গিয়ার পরিবর্তন করবেন না। এতে যেমন বাইকের ইঞ্জিনের সমস্যা হবে তেমনি তেলও পুড়বে বেশি।
গতি কমান, জ্বালানি বাঁচান
মনে রাখবেন বাইকের গতি যত বাড়াবেন ততই জ্বালানি পুড়বে। তাই গতি সব সময় মডারেটে রাখুন। সবচেয়ে ভালো হয় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটারে গতিতে গাড়ি চালানো। এ সময় গিয়ার রাখুন টপে। এতে করে জ্বালানি খরচ কমবে।
নিয়মিত বাইক পরীক্ষা করুন
নিয়মিত বাইক চেকআপ করালে জ্বালানি খরচ কমানো সম্ভব। বিশেষ করে ঘর থেকে বাইক নিয়ে বের হওয়ার সময়ই এটির ইঞ্জিনের শব্দ পরীক্ষা করুন।ইঞ্জিনের শব্দে কোনো গড়মিল থাকলে সময় নিয়ে তা খেয়াল করুন। এছাড়া, কাবুরেটর, প্লাগ, ব্যাটারি এবং ক্ল্যাচ অ্যাডজাস্ট করুন। কয়েকদিন পরপর চাকার হাওয়া পরীক্ষা করুন। চাকায় বাতাসের চাপ কম হলে ইঞ্জিন বেশি তেল পোড়ায়।
সময়মত ইঞ্জিন ওয়েল পরিবর্তন করুন
মোটর বাইক নতুন হলে প্রথম ৫০০ কিলোমিটার চালিয়ে ইঞ্জিন ওয়েল পরিবর্তন করুন। এরপর প্রতি ১ হাজার কিলোমিটার চালিয়ে ওয়েল পরিবর্তন করুন। এতে করে গাড়ির শব্দ হবে মসৃণ এবং জ্বালানিও কম পুড়বে।