দেশজুড়ে
রংপুরের কাউনিয়ায় তেজপাতা আবাদে ভাগ্য বদল
কাউনিয়া প্রতিনিধি, রংপুর : শুধু সুগন্ধি পাতা হিসেবেই নয়, ভেষজ ঔষধ হিসেবেও অনন্য তেজপাতা। এই তেজপাতা আবাদে ভাগ্য বদলিয়েছে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার একটি গ্রামের মানুষ। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে প্রতি বছর দেশের বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে এখানকার তেজপাতা।
বাগান মালিকরা বলছেন, প্রতি বছর ঈদ এলেই ভারতীয় তেজপাতার আমদানিতে সঠিক মূল্য থেকে বঞ্চিত হতে হয় তাদের। গ্রামের নাম বাজে মজকুর। রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার টেপামধুপুর ইউনিয়নে এর অবস্থান। গ্রামের প্রতিটি বাড়িতেই রয়েছে তেজপাতার বাগান। বাড়ির নারী পুরুষ নির্বিশেষে নিজেরাই আবাদ, পরিচর্যার পাশাপাশি বস্তা ভরে তেজপাতা তুলে দেন ব্যবসায়ীদের হাতে। মণ প্রতি ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা দরে বিক্রি হয় এই তেজপাতা। আর এভাবেই স্বাবলম্বী গ্রামের শত শত মানুষ।
প্রতি বছর দুই ঈদে তেজপাতার চাহিদা বেড়ে গেলেও ভারত থেকে আমদানির কারণে সঠিক মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে জানান বাগান মালিকরা।
বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা জানায়, এই তেজপাতা বিভিন্ন জেলায় পৌঁছে দেয়া হয়।
এদিকে, তেজপাতার উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সব ধরণের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলে জানান রংপুর অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ মহসীন।
তিনি বলেন, ‘তেজপাতা চাষ যেহেতু লাভজনক তাই তেজপাতা চাষ আরও বাড়ানোর জন্য সরকারি নার্সারি থেকে চারা বিতরণ করা হচ্ছে।’
কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, রংপুর জেলায় মোট ১৩ হেক্টর জমিতে তেজপাতার আবাদ হয়। এর মধ্যে শুধুমাত্র কাউনিয়া উপজেলায় প্রায় ১০ হেক্টর জমিতে ২০ মেট্রিক টন তেজপাতা উৎপাদন হয়।