দেশজুড়ে
লালমনিরহাটে সন্ত্রাসীদের তান্ডবলীলা দোকান ও ২টি বাড়ি ঘর ভেঙ্গে তছনছ
অভিযোগের বিবরণে জানা গেছে, সম্প্রতি সময়ে লালমনিরহাট পৌরসভাধীন শহরের সাহেবপাড়া আলোরুপা মোড় এলাকার ওয়ার্কসপ মিন্ত্রী মন্টু মিয়ার রাত সাড়ে ৮টায় তার বসত বাড়িতে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে রাতের খাবার খাচ্ছিলেন। ওই সময় পূর্ব শক্রতার জের ধরে সুরকিমিল পুরাতন বাসষ্ঠ্যান্ড এলাকার অজ্ঞাতনামা ৪০/৪৫জন সন্ত্রাসী, অস্ত্রধারী হাতে লাঠি, ছোরা, দা, কুরাল, চাপাতি, ক্রিজ নিয়ে মারাত্মক অস্ত্রে সস্ত্রেসজ্জিত হয়ে তার বসতবাড়ীতে অনুপ্রবেশ করিয়া অতর্কিত ভাবে হামলা চালায় এবং অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজসহ বসতবাড়ীর টিনের বেরায় ছুরি দিয়ে আঘাত করিতে থাকলে তান্ডবলীলা দেখিয়া প্রান ভয়ে বসতবাড়ীর ছেড়ে প্রতিবেশী সাক্ষী সেকেন্দার এর বাড়ীতে আশ্রয় নেই। ওই সময় সন্ত্রাসীরা ২টি টিনের ঘর ও টিনের ঘড়ের বেড়া কেটে এবং মটর সাইকেল ভেঙ্গে ফেলে প্রায় ১লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করে। ছিনের ঘর ভাংচুর, ১ভড়ি ওজনের স্বর্ণ যার মূল্য ৪২ হাজার টাকা, ওয়্যার ড্রপ ভেঙ্গে ২৬ হাজার টাকা, ঘরের হাড়ী পাতি, আসবাপত্র, প্লাষ্ঠিকের চেয়ার ও মোবাইল সেট লুটপাটসহ প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যায়। সন্ত্রাসী দলটি পরে প্রতিবেশী বিধবা রুপবানের ২টি টিনের চালা ঘরে সন্ত্রাসীরা ছুরি দিয়ে কোপ মেরে তছনছ করে দেন।
অপরদিকে ওইদিন উক্ত ৪০/৪৫জনের সন্ত্রাসীরা দলটি এর আগে শহরের আলোরুপা সিনেমা হল সংলগ্ন মজিবর রহমানের চায়ের দোকানে তান্ডবলীলা চালায়। এতে ওই চায়ের দোকানের বিভিন্ন ধরনের খাবার মাটিতে পড়ে নষ্ট হয়। ভেঙ্গে ফেলা হয় গ্লাস, প্লেট, প্লাষ্টিকের চেয়ার, টেবিলসহ অনেক ধরণের আসবাপত্র। এতে দোকানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে। পরে সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার আগে সন্ত্রাসী দলটি পালিয়ে গেলেও পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৩জনকে আটক করেছেন। এঘটনায় পরেরদিন মন্টু মিয়া ও মজিবর রহমান বাদী হয়ে লালমনিরহাট সদর থানায় পৃথক পৃথক অভিযোগ দায়ের করেছেন।