দেশজুড়ে
শুল্ক ফাকির অভিযোগ বেনাপোল কাষ্টমসের যুগ্ন কমিশনারের বদলি
বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ বলেন,যশোরের একজন আমদানী কারক ভারত থেকে মিথ্যা ঘোষনা দিয়ে ১৩০ মেট্রিক টন গ্রানাইড ও মার্বেল ষ্টোন আমদানী করেন। যার মেনিফিষ্ট নম্বর ৫১৩০২/৬, তারিখ ৭/১১/১৬। আমদানী মূল্য ৩৯ হাজার ৪০ মার্কিন ডলার। আমদানীর পুর্বে বেনাপোল কাষ্টমসের যুগ্ন কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান ও সিএন্ডএফ এজেন্ট এর মালিক মতিয়ার রহমানের সাথে আলাপ করে নেন। পন্য চালানটিতে গ্রানাইড ও মার্বেল ষ্টোনের সঠিক নাম ও সঠিক এইচ এচ কোড ব্যবহার না করে ব্যাংক থেকে স্লেট ষ্টোনের এলসি খোলেন। পন্য চালানটি কাষ্টম থেকে ছাড় করানের জন্য সিএন্ডএফ এজেন্ট তার নিজের বিল অব এন্ট্রি দাখিল না করে বেঙ্গল এজেন্সীর বিল অব এন্ট্রি দাখিল করেন।
ভারতীয় ৬টি ট্রাকে পন্য চালানটি বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের পর বন্দরের ৩১ নম্বর সেডে রাখা হয়। পরে পন্য চালানটি কাষ্টমসের যুগ্ন কমিশনার নির্দেশে পরীক্ষন ব্যাতি রেখে শুল্কায়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।
কাষ্টম সুত্রে জানাগেছে স্লেট ষ্টোনের শুল্ক কর ৩৭ ভাগ আর মার্বেল ষ্টোনের শুল্ক কর ১৫১ ভাগ। সে হিসাবে এ পন্য চালানে ৪৭ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেয়া হয়েছে। পন্য চালানটিতে প্রথমে ১১ লাখ টাকা রাজস্ব জমা দিয়ে শুল্কায়ন করা হয়। পরে পুনরায় শুল্কায়ন করে ৫৮ লাখ টাকা শুল্ককর ও ১৭ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করে পন্য খালাশ দেয়া হয়েছে।
গত ৯ নভেম্বর পন্য চালানটি বন্দর থেকে খালাশ নেয়ার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বেনাপোল শুল্ক গোয়েন্দার সহকারী কমিশনার গোলাম রসুলের নেতৃত্বে গোয়েন্দা সদস্যরা পন্য চালানটি সাময়িক আটক করে খালাশ প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেন। ১৩ নভেম্বর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের একজন যুগ্ন কমিশনার ,ঢাকাস্থ শুল্ক গোয়েন্দার ডিসি শরীফ হাসান ও বেনাপোল কাষ্টমসের ডিসি মারুফুর রহমানের নেতৃত্বে দুটি পরীক্ষন টিম পন্য চালানটি পূনপরীক্ষন করে স্লেট ষ্টোনের পরিবর্তে গ্রানাইড ষ্টোন ও মার্বেল ষ্টোনের পন্য চালান দেখতে পায়। যা ঘোষনা বহির্ভুত বলে গোয়েন্দা কর্মকর্তা শরীফ হাসান সংবাদ সন্মেলন করে জানান। তিনি আরও জানান পন্য চালানে ৪৭ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেয়া হয়েছে। শুল্ক ফাঁকি ও দুর্নীতিবাজদের সহযোগিতা করার অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় বুধবার সকালে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের এক আদেশে বেনাপোল কাষ্টমসের যুগ্ন কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমানকে যশোর ভ্যাটে বদলি করা হয়েছে । বিডিপত্র/আমিরূল