জাতীয়
স্বর্ণের দোকান গুলোতে বাড়ছে লাইসেন্স বিহীন এসিড ব্যবহার
নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকায় স্বর্ণের দোকানগুলোতে লাইসেন্সবিহীন এসিড ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এর ফলে, একদিকে এসিড সন্ত্রাস বাড়ছে, অন্যদিকে লাইসেন্স না করায় সরকার হারাচ্ছে মোটা অংকের রাজস্ব।
জানা গেছে, ঢাকা জেলায় বেশিভাগ স্বর্ণের দোকানের মালিকরা লাইসেন্সবিহীন এসিড ব্যবহার করছে। এর সাথে বন্দুকী কারবার ও ভেজাল স্বর্ণের বিভিন্ন অলংকার তৈরি করে বিক্রি করছে। ফলে অনেকেই রাতারাতি কোটিপতি বনে যাচ্ছে। বিদেশ থেকে আসা অবৈধ ভাবে স্বর্ণের বার, ১০ ভরি ওজনের বিস্কুট বেচাকেনা করছে। দোকান মালিকরা সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে তারা নিজের নিয়ম তৈরি করে ব্যবসা করছেন।
সুত্রে জানা গেছে, এমনও কিছু দোকানের মালিক আছে, যারা চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও লুটের মালামাল ও স্বর্ণ ক্রয় বিক্রয় করে। দেখা যায়, লাখ লাখ টাকা খরচ করে জুয়েলারী দোকান ডেকারেশন করে হাঁইফাঁই কিন্তু কোনো প্রকার স্বর্ণ অলংকার নেই বললেই চলে। কিভাবে দোকান ভাড়া ও বাসা খরচ করা হয়? কারণ হলো, তাদের অবৈধ বন্দকী কারবার জমজমাট ভাবে চলছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার প্রায় প্রতিটি ইউনিয়ন পর্যায়ে হাট-বাজারেও স্বর্ণের দোকান দেখা যায়, আর এসিড ছাড়া স্বর্ণ যাচাই করা যায় না। একটি নাকফুলও যদি পরিস্কার করা হয়, তার জন্য এসিড প্রয়োজন হয়, দোকানে ও কারখানায় নাইটিক এসিড রাখতে হয়। বেশ কিছু দোকান মালিক জানান, আমরা সকল স্বর্ণকার এসিড ব্যবহার করে থাকি এবং অনেকেই বন্দকী কারবার করেন, আর অবৈধ সোনা কি, তাইতো জানি না। উক্ত ব্যাপারে সচেতন মহল জনগণ বলছেন, যদি প্রতিটি এলাকায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসন সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত করেন, তাহলে কেঁচো খঁড়তে সাপের সন্ধান মিলতে পারে।
ডি সি অফিস- জি এম শাখা সুত্রে জানা গেছে, যে সকল প্রতিষ্ঠানের মালিক লাইসেন্সবিহী ব্যবসা পরিচালনা করছে এবং এসিড ক্রয় বিক্রয় ও ব্যবহার করছে। লাইসেন্স না থাকার অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।