দেশজুড়ে
হারিয়ে যাবার পথে নড়াইলের কুমার সম্প্রদায়: অধিকাংশই পেশা পরিবর্তন করেছেন, জীবিকার সন্ধানে ভারতে পাড়ি জমিয়েছেন অনেকে
নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের রায়গ্রাম নবগঙ্গা নদীর পাড়ে ১০ বছর আগে ৪০ টি পাল পরিবার (কুমার) ছিলো এখন আছে ২০ টি । এরমধ্যে ১২ জনের বাড়িতে কাজ হয় বাকিরা পেশা পরিবর্তন করে ফেলেছে । আর ২০ পরিবার এলাকা ছেড়ে ভারতে পাড়ি জমিয়েছে । নিজেদের পৈত্রিক পেশা ধরে রেখে কষ্টে জীবন যাপন করা বাবু পাল, বাসুদেব পাল, নির্মল পাল, সুবোধ পাল জানান, আগামী ৫/৭ বছর পরে তারা ও এ কাজ ছেড়ে দিবেন । জেলায় সঠিক কুমার পরিবার ও তাদের সংখ্যা সরকারী কিম্বা বেসরকারী কোথাও লিপিবদ্ধ নেই । এ রকম একটি ঐতিহ্যবাহী পেশা আগামী ১০ বছরের মধ্যে হারিয়ে যাবার আশংকায় এখনই পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন জেলার সচেতন মহল।
নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের রায়খালী গ্রামের অনীল পাল জানান, নতুন কেউ এ কাজ শিখছে না ,তাই আগামীতে কুমারের চাকা ঘোরোনোর মত কেউ থাকবে না। তিনি আরও বলেন বর্তমানে প্লাস্টিক ও সিলভার এসে মাটির তৈরী জিনিসের দাম কমে গেছে । আগামীতে এই কাজ করে আমাদের পোষাবে না তাই ছেড়ে দেব । নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের রায়খালী গ্রামের সুবাস পাল জানান, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম যেভাবে বেড়েছে সে তুলনায় মাটির জিনিসের দাম বাড়েনি, আমাদের দিকে সরকারের কোন নজর নাই। আমরা দিন দিন শেষ হয়ে যাচ্ছি ইচ্ছা থাকলেও বাবা ঠাকুরদাদের পেশা ধরে রাখতে পারছিনা।