জাতীয়
হুকুমের আসামি হিসেবে খালেদাকে শাস্তি পেতেই হবে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, বাাংলাদেশের মানুষ জেগে উঠেছে। সকলকে বলব জঙ্গীদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ান। এাই হোক আমাদের ৭ মার্চের অঙ্গীকার। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভাওতাবাজি ও মিথ্যা বলা বিএনপির জন্মগত অভ্যাস। তারা এখন বিদেশীদের সাথেও ভাওতাবাজি করছেন। অমিত শাহের সাথে নাকি খালেদার কথা হয়েছে। এমনকি আমেরিকার কংগ্রেসম্যানদেও নামে ভুয়া বিবৃতি দিয়েছে। দেশে তো ভাওতাবাজি করে এখন বিদেশীদের সাথে ভাওতাবাজি।
তিনি বলেন, বিএনপি এফবিআইকে ঘুষ দিয়ে জয়কে অপহরণের ষড়যন্ত্র করেছে। এখন ধরা খেয়ে আমেরিকার কোর্টে শাস্তি পেয়েছে এ বিএনপি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২১ আগষ্ট আমাকে হত্য্যার চেষ্টা করেছিল। আইভি রহমানকে হত্যা করেছে। কিছু আতেল শ্রেনী নাকি তারা চোখেও দেখেনা।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু যখন এগিয়ে যাচ্ছেন তখন জাতির পিতাকে সপরিবাওে হত্যা করা হয়। চিরতরে ধুলিসাত করে দেওয়া হয়েছে। একটার পর একটা ক্যু হয়েছে। জিয়াউর রহমান হত্যা ক্যু য়ের মাধ্যমে জিয়া ক্ষমমতা দখল করেছিল। হাইকোর্ট রায় দিয়েছে জিয়ার ক্ষমতামল অবৈধ হয়েছে। এরপর ২১ বছর বাংলাদেশের ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়েছে। ইতিহাসকে উজ্জীবিত করে যাচেছ এ ভাষণ।
তিনি বলেন, এ সভায় আসার সময় আমাদের মিছিলের উপর বোমা হামলা করা হয়েছে। আমাদের অনেকে এখন হাসপাতালে। বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচনে আসেন নাই। নির্বাচনে না এসে তিনি যে ভুল করেছিল। তার ভুল বাংলাদেশের মানুুষ দিয়েছিলেন। তিনি নির্বাচন বানচাল করতে দেড়শ মানুষ খুন করেছে। কোরআন শরীফ পুড়িয়েছে। এত কিছু করে ও নির্বাচন বানচাল করতে পারেনাই। সরকারী প্রিজাইডিং অফিসারকে হত্য্যা করেছেন। নির্বঅচন ঠেকাতে পারেননাই। কারণ মানুষ ভোট দিয়েছেন।
তিনি বলেন, বাংলার মানুষ যখন শান্তিতে থাকেন তিনি অশান্তিতে থাকেন। তিনি অবরোধ-হরতালের ডাক দেন। তার হরতাল কেউ মানেনা। তিনি অফিসে বসে আছেন। সেখানে বসে বিপ্লব করছেন। কোন বিপ্লব করছেন আমি জানিনা। নিরীহ মানুষ বাসে যায় সেখানে বোমা হামলা করেন। গাড়ি পুড়েয়ি দেয়। ৫৫ জন ড্রাইভা কে হত্য্যা করেছেন খালেদা জিয়া। ৬২ দিন ধরে।
তিনি বলেন, জঙ্গী নেত্রীর নির্দেশ দেশের মানুষ মানেনাই। এ জন্য তাদের ধন্যবাদ। তিনি ভাবছেন মানুষ খুন করে ক্ষমতায় চলে যাবেন। উনার বিরুদ্ধে মামলার। এতিমদের টাকা লুট করেছেন। উনি মাত্র ৭দিন কোটর্ গিয়েছেন। শেষের দিন লাঠিসোটা নিয়ে গেছেন। যেন কোর্টকে ভয় দেখাতে। আমাদেও সংসদ সদস্য ্ওর উপর হামলা করে আহত করেছেন।
তিনি বলেন, উনার সততা ও বিশ্বাস করেন তবে এত বাধা কোথায়। কেন মামলার মোকাবিলা করছেননা। তিনি ভাবছেন শাস্তি অবধারিত। তাই তিনি ভয়ে কোর্টে যাননা। আন্দোলনের নামে নিজেকে অন্ত্যরীন করে রেখেছেন। পুলিশ দিলে বলে অবরুদ্ধ। আর সরিয়ে নিলে বলেন কেন সরিয়ে নিল। তো যাবটা কোথায়।
আমাদের দেশে এক শ্রেনীর লোক আছে। বিএনপি ও খালেদা যতই অপরাধ করুক তারা চোখে দেখছেননা। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকও আছে। তারা দেখেননা কেন। শিুশু, কলেজ ছাত্রীল উপর বোমা, সাধারণ মানুষের উপর বোমা।
শিক্ষিত লোকেরা চোখেই দেখেননা। কে মারছে তারা নাকি জানেইনা। এ বনিতা খালেদা ও এখন শুরু করেছে। সফল হবেনা। বিকাল ৩টা ১০ মিনিটে সমাবেশস্থলে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৩টা ১৫মিনিটে ওলামা লীগের সভাপতি মাওলানা ইলিয়াছ হোসাইন বিন হেলালীর কোরআন তেলওয়াতের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরু হয়।
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বেব আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম প্রমুখ।